AB Bank
ঢাকা রবিবার, ০২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১৯ মাঘ ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

বৃদ্ধার জমিলা খাতুনের ঘরে চাল নেই, জ্বলে না চুলা


Ekushey Sangbad
মো. দিল, সিরাজগঞ্জ
০২:০৪ পিএম, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
বৃদ্ধার জমিলা খাতুনের ঘরে চাল নেই, জ্বলে না চুলা

জমিলা খাতুন- অবিবাহিত স্বামী সংসার হীন বৃদ্ধা ৬০ বছরের জমিলা খাতুনের গল্প বলবো। গল্পটি যখন বর্তমানে যুগে হার মানে বাস্তবে দেখা এক অজপাড়া গাঁয়ে অসহায় বৃদ্ধাকে দেখে। জমিলা খাতুন থাকেন পরিত্যাক্ত একটা ভাঙা ঝুপড়ি  ঘরে, ছেঁড়া পলিথিন, প্লাটিকের বস্তা ও ভাঙা টিনের আদলে ঘরের চারপাশের বেড়া দেওয়া। ঘরে চাল নেই, তাই ঠিকমতো চুলাও জ্বলে না। এভাবেই খেয়ে-না খেয়ে অতি কষ্টে দিন কাটছে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার দূগানগর ইউনিয়নের রাজমান নিচিনপাড়ার নিঃসন্তান বৃদ্ধা ও সহজ সরল অসহায় ৬০  বছরের বৃদ্ধা  জমেলা খাতুনের। প্রচন্ড শীতে কোন রকম দিনাপাত করছেন তিনি। 

স্থানীয় এলাকার মোঃ মোস্তাক সরকার বলেন, উনি একজন অবিবাহিত জমিলা খাতুন স্বামী সংসার না থাকায় কোন রকম ভাবে বোনের বাসায় ঝুপড়ি  ঘর দিয়ে বসবাস করছে এবং চোখে ঠিকমতো দেখতে না পাওয়ায় গ্রামের লোকজনের কাছে এক বেলা খেয়ে না খেয়ে চলছে তার জীবন। যখন কেউ খাবার দেয় না খাবার পেলে না খেয়ে থেকে এ ভাবেই চলছে তার জীবন যাপন। তার আছে এক ভাই এক বোন তারাও ছোট খটো ব্যবসা করে তাদের সংসার চালাতে হিমশিম খায় যতটকু পারে তাতের সাধ্যমত  সাহায্য করে। কিন্তু একজন মানুষের যতটুকু চলার জন্য যতটুকু খাবার ও বাসস্থান পাওয়ার দরকার তারা তা ঠিকমতো দিতে পারে না। তার ভাই বোনের অভাব অনটান থাকায় তাকে পর্যাপ্ত তাকে চিকিৎসা ও খাবার পর্যাপ্ত দিতে পারে না।শীর্ণ জীর্ণ  জবমিলার খাতুনের এমন করুণ চিত্র চোখে পড়ে।

অসহায় জমিলা খাতুনের সাথে কথা হলে তিনি  বলেন, যে জায়গায় ঝুপড়ি ঘর এটা আমার বোনের জায়গায় তুলে আছি। বর্ষায় বৃষ্টির সময় ঘরের মধ্যে ঝর ঝর কইরা পানি পরে। শীতের সময় লাগে শীত। ভালো মতো ঘর তোলার টাহা পয়সা আমার নাই। একখান সরকারি ঘর পাইলে আমার আর কষ্টো থাকতো না। যে ঘরডায় থাহি তা মানষের টাহায় কোন রকম ঝুপড়ি ঘর তুলে আছি। সরকারি ঘর পামু কই! দেবে কেডা। এর আগে মেম্বার চেয়ারম্যানের দুয়ারে দুয়ারে বহুত ঘুরছি। শরীর যখন ভালা আছিলো মানুষের কাম কাইজ কইরা যা জোডে হেই দিয়াই চলেছি এহন আর কামকাজ করতে পারি না আর চোখে ছানি পড়ায় ঠিক মতো দেখবার পারি না। হৃদয়বান ব্যক্তিরা সহযোগিতা করলে শেষ বয়সে  ভালো থাকতে পারতাম। বিয়ে না করায় আল্লায় আমার স্বামী সংসার নাই এমনটাই  কান্না জড়িত কন্ঠে বলছিলেন জমিলা খাতুন। 

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ


 

Link copied!