AB Bank
ঢাকা রবিবার, ০২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১৯ মাঘ ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা: সাবেক এমপি রানাসহ ৪ ভাই খালাস


Ekushey Sangbad
জেলা প্রতিনিধি, টাঙ্গাইল
০৪:৪৯ পিএম, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা: সাবেক এমপি রানাসহ ৪ ভাই খালাস

টাঙ্গাইলের আলোচিত মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় আদালত দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। তবে মামলার অন্যতম আসামি সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) আমানুর রহমান খান রানা, তার ভাই সাবেক পৌর মেয়র সহিদুর রহমান খান, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা সানিয়াত খান বাপ্পাসহ ১০ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

রোববার টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মাহমুদুল হাসান এই রায় দেন। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন মোহাম্মদ আলী ও কবির হোসেন, যাঁরা জামিনে থেকে পলাতক।

টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি মোহাম্মদ সাইদুর রহমান স্বপন জানিয়েছেন, ‘দুই জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে, তবে সাবেক এমপি আমানুর রহমান খান রানাসহ ১০ জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।’

২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি টাঙ্গাইলের কলেজপাড়া থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার হয়। এর তিন দিন পর তাঁর স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।

পরের বছর আগস্টে এই হত্যায় জড়িত সন্দেহে আনিসুল ইসলাম রাজা ও মোহাম্মদ আলীকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে তাদের জবানবন্দিতে, আওয়ামী দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা, তার ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার তৎকালীন মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পার নাম আসে।

এক পর্যায়ে আমানুর রহমান খান রানাসহ চার ভাই আত্মগোপনে চলে যান। পরে রানা আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। প্রায় ৩ বছর তিনি হাজতে ছিলেন। কিন্তু অন্য ভাইরা ২০১৪ সাল থেকেই পলাতক।

২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম মাহফীজুর রহমান এই চার ভাইসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। ২০১৭ সালের ৬ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে মামলাটির বিচার শুরু হয়। গত ২৬ জানুয়ারি মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলার যুক্তিতর্ক শেষ হয়।

বিচার চলাকালে মামলার দুই আসামি আনিছুর রহমান ওরফে রাজা ও মোহাম্মদ সমির কারাগারেই মারা যান।

 

একুশে সংবাদ/ই.ট/এনএস

Link copied!