কুড়িগ্রামের রাজীবপুর উপজেলায় সংবাদ প্রকাশের জের ধরে সুজন মাহমুদ নামে এক সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় রাজীবপুর বাজার কম্পিউটার গলিতে ওই সাংবাদিকের ওপর হামলা হয়। হামলাকারীরা সবাই উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোখলেছুর রহমানের অনুসারী বলে জানা গেছে।
এর আগে গত ৩ জানুয়ারি উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোখলেছুর রহমানের নামে বাংলা এডিশনে `স্ব-পদে বহাল অধক্ষ্য, নেপথ্যে উপজেলা বিএনপি` শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে ওই সাংবাদিক। এরই জের ধরে বাংলা এডিশনের রৌমারী-রাজীবপুর প্রতিনিধি সুজন মাহমুদের ওপর উপজেলা বিএনপির সাবেক ওই সভাপতির অনুসারীরা হামলা করে
সাংবাদিক সুজন মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, রবিবার সন্ধ্যা ৬টায় দিকে রাজীবপুর বাজারে গিয়ে আমার সহকর্মীদের সঙ্গে বাজারে চা আড্ডা দিচ্ছিলাম। এমন সময় (সন্ধ্যা ৭টার দিকে) উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার হোসেন (নেভী), সাব্বির হোসেন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক শফি আলম, শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রানা, যুবদল কর্মী রুবেল, ছাত্রদল কর্মী আব্দুল্লাহ আল-মামুনসহ অন্তত ৩০ থেকে ৩৫ জনের একটি দল এসে আমার ওপর আক্রমণ করে। এসময় সঙ্গে থাকা আমার সহকর্মীরা আমাকে হামলার হাত থেকে রক্ষা করে একটি দোকানে বসিয়ে রাখে। মারমুখী দুর্বৃত্তরা দোকানের ভিতরে আমাকে আক্রমণ করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সাংবাদিক সুজনসহ কয়েকজন সাংবাদিক গলিতে দাঁড়িয়ে ছিলো। হঠাৎ করে ৩০ থেকে ৩৫ জনের মতো লোকজন সাংবাদিক সুজন মাহমুদের ওপর হামলা চালায়।
উপজেলা শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রানা বলেন, সাংবাদিক সুজন ৫ আগস্টের পর থেকে সে বিএনপি নেতাদের নামে বিভিন্ন ধরণের মিথ্যা সংবাদ প্রচার করেছে। এই ঘটনায় আমরা বাজারে তার কাছে জানতে গিয়েছিলাম এর বাইরে তার সাথে কিছুই ঘটেনি। আপনি সরেজমিনে এসে তদন্ত করে দেখেন।
রাজীবপুর উপজেলা বিএনপি সাবেক সভাপতি মো. মোখলেছুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, আমি ঢাকায় আছি ওই সাংবাদিকের সাথে কি ঘটেছে আমি জানি না। তবে আমার অনুসারীরা যদি কোন সাংবাদিকের সাথে খারাপ কিছু করে থাকে তবে আমি গিয়ে তার বিচার করবো।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :