AB Bank
ঢাকা মঙ্গলবার, ০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২১ মাঘ ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

শ্রীপুরে আগুনে পুড়ল সবতঘর


Ekushey Sangbad
টি আই সানি, শ্রীপুর, গাজীপুর
০৫:৩৩ পিএম, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
শ্রীপুরে আগুনে পুড়ল সবতঘর

গাজীপুরের শ্রীপুরে এমসি বাজার এলাকায় অগ্নিকান্ডে বসতবাড়ীর ৮টি কক্ষ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আগুনে এসব ঘরে থাকা ফ্যান, ফ্রিজ, টিভি, খাট, ওয়ারড্রপ, লেপ-তোষক, খাট, আলমিরা, স্বার্ণলঙ্কার, নগদ টাকাসহ মূল্যবান মালামাল পুড়ে যায়। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি)  সকাল পৌণে ১১ টায় শ্রীপুর মাওনা (উত্তরপাড়া) এলাকায় সেলিম খানের টিনশেড ঘরে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে মাওনা ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে পৌণে এক ঘণ্টার চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। বৈদ্যুতিক শট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে বলে জানিয়েছেন বাড়ীর মালিক সেলিম খান।

বাড়ীর মালিক সেলিম খান জানান, পুড়ে যাওয়া ওইসব ঘরে স্থানীয় বিভিন্ন পোশাক কারখানার শ্রমিকদের কাছে ভাড়া দেন। প্রতিটি কক্ষে একটি করে পরিবার বসবাস করে। হঠাৎ একটি ঘরে থেকে আগুণ বের হতে দেখে। মুহূর্তের মধ্যে আগুন পাশপাশি থাকা ৮টি ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা অফিসে থাকায় তাদের ঘরে সব মামলামল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌছে সাড়ে ১১ টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, পাশাপাশি ৮টি ঘরের সবগুলোই টিনশেড বিল্ডিং। একটি ঘর অপর ঘরের সঙ্গে লাগানো। ছোট ছোট কক্ষের প্রতিটিতে একটি করে পরিবার বসবাস করে। আগুনে পুড়ে যাওয়া ঘরে আসবাবপত্র, ফ্যান, খাট পুড়ে গেছে। কারও কারও ঘরে ছেলেমেয়েদের পোড়া বইখাতাও পড়ে আছে।

কুড়িগ্রাম জেলা সদর উপজেলার চরসিদাই গ্রামের ফেরদৌস আহমদের স্ত্রী পোশাক শ্রমিক সুমি আক্তার (৩৫) বলেন, হঠাৎ খবর পাই ঘরে আগুন লেগেছে। ছুটি নিয়ে ফিরে এসে দেখি ঘরে কিছু নগদ টাকা রেখেছিলাম সেগুলোও পুড়ে গেছে। মালপত্র কিছুই বের করতে পারিনি। সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে ২ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

একই জেলার চর শীতেইজা গ্রামের পোশাক শ্রমিক আশরাফুল ইসলামের স্ত্রী খাদিজা (৩৫), বলেন, তিনি অফিসে ডিউটিতে ছিলেন। ঘরে আগুন লাগার খবর পেয়ে অফিস থেকে এসে দেখেন ঘরের ওপর দিয়ে আগুনের কালো ধোঁয়া বের হচ্ছে। চোখের সামনে পুরো ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেলো। আগনে তার ঘরে থাকা ৩০ হাজার টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

জামালপুর জেলা সদর উপজেলার ইটালি বাজার গ্রামের মৃত রুস্তম আলীর ছেলে কন্ট্রাকটর মোহাম্মদ আতিক উল্লাহ বলেন, কোনো দিন কাজ পান, কোনো দিন পান না। প্রায় এক বছর ধরে স্ত্রী সন্তানসহ টিনশেড ছোট ঘরটিতে তিনি হাজার টাকায় ভাড়া থাকতেন তিনি। সব হারিয়ে এখন তিনি বড় অসহায়। এতে তার ৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

একই জেলা সদর থানার সোনটিয়া গ্রামের মৃত বেলায়েত আলীর ছেলে মুকুল মিয়া (৩৫) বলেন, আমি কাজে গিয়েছিলাম। সেখানে সংবাদ পাই ঘরে আগুন লেগেছে। বাসায় এসে দেখি সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। একটি ঘর থেকে লাগা আগুন পাশের ৮টি ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। আগুন লাগার পর যে যার মতো ঘর থেকে কিছু মালামাল বের করতে পারলেও বেশিরভাগ পুড়ে গেছে। তার এক লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

পোশাক শ্রমিক রিমা আক্তার (২০) বলেন,  জীবনের স্বপ্ন পূরনের আশায় পোশাক কারখানায় চাকরি নিয়েছিলাম। তিন হাজার টাকায় টিনশেড ঘর ভাড়া নিয়ে শুরু করেন স্বপ্ন বোনা। তবে সব স্বপ্ন ও সম্বল কেড়ে নিয়েছে নির্দয় আগুন। চাকরি করে কিছু টাকা জমিয়েছিলাম। আগুনের লেলিহান শিখা থেকে বাঁচাতে পারেননি তাও। শুধু তাই নয়, কাপড়চোপড় থেকে শুরু করে বিছানাপত্র কিছুই আর বাকি নেই।

মাওনা ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যার হাউস ইন্সপেক্টর অপূর্ব বল জানান, সেলিম খানের বাড়ীতে অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে পৌণে এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে ওই বসতবাড়ীর ৮টি কক্ষ পুড়ে যায়। ওইসব কক্ষ ভাড়া নিয়ে বিভিন্ন পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা পরিবারসহ বসবাস করতো। প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতির শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে থাকতে পারে।

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

Link copied!