চট্টগ্রামে কালুরঘাট সেতুতে মোটরসাইকেল টোল বন্ধের দাবিতে আবারও বিক্ষোভ করেছে চালকরা। সেতু পারাপারে মোটরসাইকেল টোল আদায় বন্ধের দাবিতে আবার বিক্ষোভ করেছেন সেতু ব্যবহারকারীরা।
গতকাল বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পূর্ব কালুরঘাট টোল অফিসের সামনে মেটাল হর্স বাইকার গ্রুপ ও নাগরিক কমিটি এ বিক্ষোভের ডাক দেন। এসময় সেতু পারাপারকারী বাইক আরোহীরাও এতে যোগ দেন। চলে প্রায় ঘন্টাব্যাপী বিক্ষোভ।
মোটরসাইকেল চালকরা জানান, গত ৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় সেতুর ইজারাদার কর্তৃপক্ষ বাইক থেকে ২০ টাকা হারে টোল আদায় শুরু করেন। ওই সময় মোটর সাইকেলের উপর আরোপিত অযৌক্তিক টোল আদায়ের প্রতিবাদ জানানো হয়। এর প্রেক্ষিতে সেতু ইজারাদার কর্তৃপক্ষ বাইক থেকে টোল আদায় বন্ধ রাখেন। এবিষয়ে পরদিন ৬ ফেব্রুয়ারি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ আলোচনা হয় এবং সেতু পারাপারে মোটরসাইকেল আরোপিত টোল প্রত্যাহারের দাবিতে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। এর আলোকে সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত টোল আদায় বন্ধ থাকার কথা হয়েছিল।
জানা গেছে, গত ১১ ফেব্রুয়ারি উপজেলা প্রশাসন, ইজারাদার কর্তৃপক্ষ ও ছাত্র প্রতিনিধিসহ আন্দোলনকারীদের একটি বৈঠক হয়। এরপর ইজারাদার কর্তৃপক্ষ ১০ টাকা হারে মোটর সাইকেল প্রতি টোল আদায় শুরু করেন। এনিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েন ছাত্র প্রতিনিধিরা। বাইক থেকে টোল আদায় বন্ধের দাবিতে আবারও বিক্ষোভের ডাক দেয় নাগরিক কমিটি ও মোটরসাইকেল । বুধবার সন্ধ্যায় বিক্ষোভের মুখে পড়েন টোল আদায়কারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন। এতে দুইপাড়ে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট ।
খবর পেয়ে বোয়ালখালী সেনা ক্যাম্প কমান্ডার মেজর রাসেল রেলওয়ের সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত মোটরসাইকেল টোল আদায় করা হবে না জানালে পরিস্থিতি শান্ত হয়। মেজর রাসেল বলেন, রেলওয়ের কর্তৃপক্ষের কাছে বিক্ষোভকারীরা বাইকের টোল প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি দিয়েছেন। এ বিষয়ে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত বাইক থেকে টোল নেবেন না ইজারাদার প্রতিষ্ঠান।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :