সাভারের হেমায়েতপুরে সিলিন্ডার গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে শিশুসহ ৭ জন দগ্ধ হয়েছেন। দগ্ধদের সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রবিবার সন্ধ্যায় হেমায়েতপুরের নালিয়াসুর এলাকার নবাব আলীর মালিকানাধীন একতলা বাড়ির একটি কক্ষে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
দগ্ধরা হলেন, মো. সোলায়মান (১৪), সুজাত মোল্লা (২৬), মো. জিসান (২০), মোছা. হালিমা (৪২), মোছা. শিল্পী (৩৫), মোছা. আমেনা (৬০) ও মো. সজিব (৮)।
মো. আকাশ নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, হেমায়েতপুর নালিয়াসুর নওয়াব আলীর বাসায় ঘটনা। এক তলা বাড়ি। সিলিন্ডারটি পুরনো ছিল। উনাদের বাসায় আসা আত্মীয়দের এগিয়ে দিতে গিয়েছিল, দরজা লাগিয়ে দিয়ে। সন্ধ্যার আগে হবে। ১০ মিনিটও হয়নি। এরমধ্যেই গ্যাসের গন্ধ আসছিল। এজন্য আশপাশের লোকজন তাদের কল দিয়ে বলেছে, ঘর থেকে গ্যাসের গন্ধ আসছে। পরে বলছে, তালা ভাঙো। তো একজন জানালার সামনে ছিল, জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখছিল, কক্ষের ভেতরে কি হয়েছে। একজন তালা ভাঙছিল, তালায় বাড়ি দেওয়াতেই স্ফুলিঙ্গ থেকে বিস্ফোরণ হয়, আগুন লাগে। দরজাও ভেঙে যায়। তখন জানালায় থাকা ব্যক্তির মুখ পুড়ে যায়। আশপাশে যে লোকজন ছিল, মোট সাতজন। সবার শরীর পুড়ে যায়। এরমধ্যে বাড়িওয়ালার স্ত্রী, মেয়ে তার শিশু ছেলে ছিল। তাদের উদ্ধার করে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আরেক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, প্রথম কয়েকজন নারী কক্ষের বাইরে কথা বলছিল। তারা কক্ষে গ্যাসের গন্ধ পায়। ওই কক্ষ তালা দেওয়া ছিল। তবে কক্ষের বাসিন্দারা ছিল না। এজন্য তারা কক্ষ খোলার চেষ্টা করে। চাবি না পেয়ে তালা ভাঙার চেষ্টা করে। তালায় যখন আঘাত করে, তখন স্ফুলিঙ্গ হয়ে বিস্ফোরণ হয়। এতে দরজা ভেঙে যায়। পরে দগ্ধদের উদ্ধার করে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়।
উল্লেখ্য, রবিবার ভোরে আশুলিয়ার দুর্গাপুর এলাকায় সিলিন্ডার গ্যাসের লিকেজ থেকে শিশুসহ একই পরিবারের তিনজন দগ্ধ হলে তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। এর আগে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি আশুলিয়ার গুমাইল এলাকায় রান্নার সময় গ্যাস বিস্ফোরণে একই পরিবারের ১১ জন দগ্ধ হলে ঢামেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনজনের মৃত্যু হয়।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :