AB Bank
  • ঢাকা
  • বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১২ ফাল্গুন ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

স্পেশাল জজ আদালতের হিসাব সহকারীর ১০ বছরের কারাদণ্ড!


স্পেশাল জজ আদালতের হিসাব সহকারীর ১০ বছরের কারাদণ্ড!

খুলনা বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতের হিসাব সহকারী ও কাম ক্যাশিয়ার অলোক কুমার নন্দীকে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে, যা অনাদায়ে আরও ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে রূপান্তরিত হবে।


মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) খুলনা বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মো: আশরাফুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো: ইয়াসিন আলী রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।


ঘটনার সূত্রপাত ১৯৯৪ সালে। খুলনা বিভাগীয় জজ আদালতে মো: জহুর ই আলমের বিরুদ্ধে স্পেশাল মামলা ৪০/৯১ নং মামলা বিচারাধীন ছিল। মামলার আসামির স্ত্রী হাসিনা আলম আদালতে এসে খোঁজখবর নেওয়ার সময় হিসাব সহকারী অলোক কুমার নন্দী তাকে দেড় লাখ টাকার বিনিময়ে জহুর ই আলমকে খালাস করিয়ে দেওয়ার মিথ্যা আশ্বাস দেন। ১৯৯৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারি হাসিনা আলমকে সিএন্ডবি কলোনীর সামনে টাকা দেওয়ার কথা বলা হয়, কিন্তু সেদিন কোনো টাকা আদান-প্রদান হয়নি।


পরবর্তীতে ১৪ মে অলোক কুমার নন্দী মাগুরায় হাসিনা আলমের বাড়িতে গিয়ে তাকে প্রতারণার আশ্রয় নেন। তিনি জানান, দেড় লাখ টাকা না দেওয়ায় আদালতের বিচারক জহুর ই আলমকে সাজা দিয়েছেন। হাসিনা আলম করণীয় জানতে চাইলে নন্দী তাকে দেড় লাখ টাকা দেওয়ার পর মামলার নথি পুড়িয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেন।


১৯৯৪ সালের ২৫ মে হাসিনা আলম ৬ শতক জমি ও গরু বিক্রি করে দেড় লাখ টাকা সংগ্রহ করেন এবং দু’জনের উপস্থিতিতে নন্দীর হাতে টাকা তুলে দেন। কিন্তু পরে খাদ্য অধিদপ্তর থেকে জহুর ই আলমের বিরুদ্ধে আদালতের রায়ের সাজা সংক্রান্ত চিঠি পেয়ে হাসিনা আলম বুঝতে পারেন প্রতারণার শিকার হয়েছেন। তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করলে জহুর ই আলমকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।


এরপর হাসিনা আলম নন্দীর কাছ থেকে টাকা ফেরত চাইলে তিনি বিভিন্ন সময়ে মোট ২৩ হাজার টাকা ফেরত দেন এবং বাকি টাকা দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানান। এ ঘটনায় হাসিনা আলম ১৯৯৯ সালের ১৭ জুন খুলনা বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে নালিশী দরখাস্ত করেন। একই বছরের ২২ জুন বিভাগীয় জজ আদালত থেকে স্মারক খুলনা দুর্নীতি দমন ব্যুরোতে প্রেরণ করা হয়।


২০০০ সালের ৩০ মে প্রমাণাদি সংগ্রহ শেষে জেলা দুর্নীতি দমন ব্যুরোর পরিদর্শক মিছবাহ উদ্দিন বাদী হয়ে খুলনা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন জেলা দুর্নীতি দমন ব্যুরোর পরিদর্শক সুভাষ চন্দ্র দত্ত। দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়ার পর আদালত অলোক কুমার নন্দীকে দোষী সাব্যস্ত করে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন।


এ রায় ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় এ ধরনের সিদ্ধান্ত নাগরিকদের মধ্যে আশা জাগাচ্ছে।

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

Link copied!