নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় এক রাতে দুই কৃষকের ১০ গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে । গৃহপালিত এসব প্রাণির আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় পনের লাখ টাকা বলে দাবি করছেন ওই কৃষকরা। উপজেলার গন্ডা ইউনিয়নের গাড়াদিয়া গ্রামে শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি)গভীর রাতে চুরির ঘটনাগুলো ঘটে।
জানা যায়, গাড়াদিয়া গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের নাম চাঁন মিয়া ভূইয়া ও আব্দুস সাত্তার।
গাড়াদিয়া গ্রামের মৃত নুরু হোসেন ভূইয়ার ছেলে কৃষক চাঁন মিয়া জানান, গতরাত ১টা পর্যন্ত আমরা সজাগ ছিলাম। ভোর রাতে চোরেরা গোয়াল ঘরের তালা ভেঙে গরুগুলো নিয়ে যায়। চুরি হওয়া গরুগুলোর মধ্যে ১টি গাভীসহ বাছুর,,১টি গর্ভবতী গাভী এবং ২টি বকনা বাছুর ছিল। এ চুরির ঘটনায় নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন তিনি। এ চুরির ঘটনায় আমার প্রায় সাত লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
গাড়াদিয়া চাঁন মিয়া ভূইয়ার ছেলে শাহ আলম জানান, আমার ছোট ভাই সাধারণত গোয়াল ঘরেই রাত্রিযাপন করেন। তবে শুক্রবার তিনি বাড়িতে ঘুমান। ফজরের নামাজের সময় ঘুম থেকে উঠে তারা দেখতে পান, গোয়াল ঘরের দরজা খোলা। পরে ভেতরে গিয়ে পাঁচটি গরু পাননি তিনি। থানায় অভিযোগের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
অন্য দিকে উপজেলার একই গ্রামের মৃত আসন আলীর ছেলে কৃষক আব্দুস সাত্তারের গোয়াল ঘর থেকে একই রাতে ১টি গর্ভবতী গাভী, একটি বাছুর সহ গাভী, ১টি বকনা বাছুর ও একটি ষাঁড় বাছুর চুরি হয়ে যায়।
কৃষক আব্দুস সাত্তার জানান, গত রাতে গোয়াল ঘরে মশা তাড়ানোর জন্য ধোঁয়ার ব্যবস্থা করে তালা দিয়ে ঘরে এসে ঘুমিয়ে পড়ি।সকালে গিয়ে দেখি গোয়াল ঘরের তালা ভাঙ্গা এবং পাঁচটি গরু নাই। এ চুরির ঘটনায় আমার প্রায় আট লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এতে আমার অনেক বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে গেল। এ ব্যাপারে আমি কিছুক্ষনের মধ্যে থানায় অভিযোগ করব।
কেন্দুয়া উপজেলায় সাম্প্রতিক সময়ে গরু চুরির ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ উদ্বিগ্ন। ভুক্তভোগীরা দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, গরু চুরির ঘটনা বন্ধে আমরা বদ্ধপরিকর। অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :