দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বাগেরহাট-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সাবেক উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহারের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ তদন্ত শুরু করেছে। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি দুদক এই অভিযোগ তদন্তের সিদ্ধান্ত নেয় এবং খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে ৩ সদস্যের একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি দুদকের পক্ষ থেকে হাবিবুন নাহারের নির্বাচনী এলাকায় সরকারি বরাদ্দ বিতরণের তালিকা চাওয়া হয়েছে।
হাবিবুন নাহারের স্বামী তালুকদার আবদুল খালেক খুলনা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি বাগেরহাট-৩ আসনে একাধিকবার সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। গত ২১ জানুয়ারি তালুকদার খালেকের বিরুদ্ধেও অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদক তদন্ত শুরু করে। ওই সময় দুদক সাবেক মেয়র ও তার স্ত্রী হাবিবুন নাহারের আয়কর বিবরণীসহ অন্যান্য তথ্য সংগ্রহ করে।
তালুকদার খালেকের বিরুদ্ধে খুলনা থেকে রামপাল ও মোংলার উন্নয়ন কাজ তদারকির সময় অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। মূলত তার অনিয়মের বিষয়ে তদন্তের প্রেক্ষাপটে হাবিবুন নাহারের উন্নয়ন বরাদ্দের তথ্য চাওয়া হয়েছে। দুদকের খুলনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ও অনুসন্ধান টিমের প্রধান মো. আবদুল ওয়াদুদ জানান, বাগেরহাট-৩ আসনে সংসদ সদস্য হিসেবে ২০১৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত টিআর ও কাবিখা প্রকল্পের বছরভিত্তিক বরাদ্দপত্র এবং অনুমোদিত প্রকল্পের তালিকা চাওয়া হয়েছে। এছাড়া ওই সময় মোংলা ও রামপাল উপজেলায় প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরতদের বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছে।
দুদকের এই তদন্তে হাবিবুন নাহার ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। দুদকের এই পদক্ষেপে বাগেরহাট-৩ আসনের উন্নয়ন বরাদ্দ বিতরণে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :