বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষকের সেচ সেবা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ও সমস্যা নিরশনে হটলাইন সেবা চালু করেছে । রোববার (২ মার্চ) সংস্থার চেয়ারম্যান ড.এম. আসাদুজ্জামান এ কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, চলতি বোরো মৌসুমে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে ১৬ হাজার ৭১৫টি সেচযন্ত্র দ্বারা প্রায় ৩ লাখ ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। প্রতিটি পাম্প সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য স্থানীয়ভাবে স্কীমভুক্ত কৃষকদের মধ্যে থেকে বিএমডিএ কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত একজন পাম্প অপারেটর সার্বক্ষনিক দায়িত্ব পালন করছেন।
চলতি অর্থবছরে অপারেটর নিযোগের ক্ষেত্রে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করে উপজাতিদের অগ্রাধিকার প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে এরই ধারাবাহিকতায় এ পর্যন্ত রাজশাহী, নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ৮০ জনকে নলকূপের অপারেটর হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে ।
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সার্বিক উন্নয়নে বিএমডিএ নানাবিধ কাজ করে যাচ্ছে। আগামী দিনেও যেকোনো ধরনের বৈষম্য দূর করে ন্যায্যতার ভিত্তিতে সেচের পানি প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণ সহ সার্বিক বিষয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতার বিষয়ে তিনি পূর্ণাঙ্গ আশ্বাস প্রদান করেন।
এ প্রেক্ষিতে তিনি আরো বলেন, দায়িত্বপ্রাপ্ত অপারেটরদের কোন ধরনের অসহযোগীতা বা অন্য কোন কারনে জমিতে সেচ প্রাপ্তিতে ইচ্ছাকৃত বিলম্ব ঘটানো, নির্ধারিত সেচচার্জের অধিক অর্থ গ্রহণ, এতদসংক্রান্ত যে কোনো ধরনের হয়রানি বিষয়ে কৃষকদের অভিযোগ গ্রহনের জন্য ইতিমধ্যে একটি হটলাইন নম্বর (০১৩৩৬-৪২৬৩৩০) চালু করা হয়েছে।
এ নম্বরে ফোন করে বিএমডিএ’র সেচযন্ত্রের স্কীমভূক্ত ১০ লক্ষেরও অধিক কৃষকগণ যে কোন সময়ে তাদের সেচ সংক্রান্ত অভিযোগ জানাতে পারবেন। পাশাপাশি প্রাপ্ত অভিযোগ দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য বিএমডিএ’র কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে জেলাভিত্তিক ৬টি পৃথক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটির সদস্যগণ সরোজমিনে পরিদর্শনপূর্বক অভিযোগ প্রাপ্তির ২৪ ঘন্টার মধ্যে অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। কোনক্রমেই যাতে সেচ কার্যক্রম বিঘ্নিত না হয় সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সকল কর্মকর্তা/কর্মচারীদেরকেও সর্বদা সজাগ থাকার জন্য তিনি কঠোর নির্দেশনা প্রদান করছেন। এসময় বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :