জামালপুরে আদালত প্রাঙ্গণে ধর্ষণ মামলার আসামীর পক্ষ নেয়ায় আইনজীবীদের সাথে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১০ মার্চ) দুপুরে জামালপুর আদালত চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় উভয় পক্ষের ১১জন আহত হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের আহতরা হলেন, ইমন (২০), ইশান (১৫), মোয়াজ (১৯), হৃদয় (২৩), তারেক (২৩), শিশির (১৮)। এদের মধ্যে মোয়াজ (১৯), হৃদয় (২৩) ও তারেককে (২৩) জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত মোয়াজ ঢাকায় জুলাই-আগষ্টের আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে আহত হয়।
এছাড়াও আহত আইনজীবীরা হলেন, খলিলুর রহমান (৮০), আব্দুল আওয়াল (৫৫), ওমর ফারুক (৪৭), নজরুল ইসলাম তরফদার (৫৫) ও আইনজীবীর সহকারী রুকনুজ্জামান (৪০)।
জানা গেছে, একটি ধর্ষণ মামলার শুনানিতে আসামি পক্ষের আইনজীবী হিসেবে অংশ নেন এডভোকেট নজরুল ইসলাম তরফদার ও ওয়াহিদুজ্জামান। আসামি পক্ষের আইনজীবী হিসেবে শুনানিতে অংশ নেয়ায় ওই আইনজীবীর সাথে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে আইনজীবীদের সাথে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের হাতাহাতি ও ধাওয়া পালটা ধাওয়া হয়। এসময় ইমন ও ইশানকে একটি ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখে আইনজীবীরা। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ১১জন আহত হয়েছে।
আহত মুয়াজ বলেন, একটি ধর্ষণ মামলায় শুনানি হয় আজ। ধর্ষণের আসামীর পক্ষ নিয়ে কয়েকজন আইনজিবী আসামীদের বাঁচানোর পায়তারা করছিলো। আদালত প্রাঙ্গণে তাদের সাথে কথা-কাটাকাটি হয়। এসময় আইনজীবী ও তাদের সহকারীরা আমাদের উপর অতর্কিত হমলা চালায়।
জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক রিশাদ রেজুওয়ান বলেন, সকল আইনজীবীই মামলার কাজে ব্যাস্ত ছিলাম। এমন সময় কিছু দুষ্কৃতকারী আদালতে প্রবেশ করে একটি মামলার বিষয়ে একজন আইনজীবী সাথে কথা-কাটাকাটি করে ও পরে তাদের উপর হামলা করে। এতে আমাদের কয়েকজন আইনজীবী আহত হয়েছেন। এবিষয়ে জেলা আইনজীবী সমিতির কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
সহকারী পুলিশ সুপার ইয়াহিয়া আল মামুন জানান, আদালত চত্বরে ছাত্রদের সাথে আইনজীবীদের একটি ঝামেলা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে বলা যাবে কি হয়েছে। এঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।#
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :