শেরপুরের নকলায় প্রেম করে ও পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ১৫ বছর বয়সি এক কিশোরী শ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ইটভাটার আরেক শ্রমিকের বিরুদ্ধে ।
পরে ওই শ্রমিক কিশোরীকে বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় কিশোরী তাঁর মাকে নিয়ে পরদিন থানায় হাজির হয়ে অভিযোগ করলে পুলিশ ইটভাটা থেকে ওই শ্রমিককে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে। ৮ মার্চ শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে নকলা পৌরসভার কুর্শাবাদাগৈড় মহল্লার এফআরবি ব্রিকস ফিল্ডে ওই ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত ইটভাটা শ্রমিকের নাম সাব্বির হোসেন গাজী (২০)। তাঁর পিতার নাম সাঈদ গাজী। বাড়ি খুলনার পাইকগাছা উপজেলার গদাইপুর গ্রামে।
সাব্বির প্রায় ৪ মাস ধরে এফআরবি ব্রিকস ফিল্ডে শ্রমিক হিসেবে কাজ করে। এদিকে কিশোরীর বাড়ি ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার ছনধরা ইউনিয়নের রামসোনা গ্রামে। সেও তার মায়ের সাথে এক বছর ধরে ওই ব্রিকস ফিল্ডে শ্রমিকের কাজ করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় একসাথে কাজ ও রাত্রিতে ব্রিকস ফিল্ডে রাত্রি যাপন করার সুবাধে শ্রমিক সাব্বির ওই কিশোরীর সাথে ৩ মাস ধরে প্রথমে প্রেমের সম্পর্ক ও পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। ৮ মার্চ শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে সাব্বির কিশোরীর সাথে দৈহিক মেলামেশা করার পর কিশোরী তাঁকে বিয়ের জন্য চাপ দেয় এবং বাড়ি থেকে মাবাবাকে খবর দিয়ে এনে তাঁকে পারিবারিকভাবে বিয়ে করতে বলে। এ নিয়ে রাত পর্যন্ত চলে দেনদরবার। বিষয়টি সুরাহা না হওয়ায় পরদিন রবিবার দুপুরে কিশোরী তার মাকে নিয়ে নকলা থানায় হাজির হয়ে অভিযোগ করলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সাব্বিরকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে এবং কিশোরীকে তাঁর মাসহ পুলিশি হেফাজতে নেয়।
নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান ঘটনার বিষয়ে কিশোরীর মায়ের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে রবিবার সন্ধ্যায় নকলা থানায় মামলা রুজু করা হয়েছ। আজ(১০ মার্চ) সোমবার সকালে সাব্বিরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে এবং কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
একুশে সংবাদ//এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :