নওগাঁর নিয়ামতপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আঃ রাজ্জাক আলী নামের এক ব্যক্তির বসত বাড়ির একাংশ ভেঙে বেড়া লাগিয়ে জমি জবর দখল করে নিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার শ্রীমন্তপুর ইউনিয়নের দারাজপুর গ্রামে। এঘটনায় প্রতিকার চেয়ে প্রতিপক্ষের আঃ মজিদ, কাজল রেখা ও রিমন বাবু’র বিরুদ্ধে নিয়ামতপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভূক্তভোগী আঃ রাজ্জাক আলী ।
সোমবার (১০ মার্চ) বিকেলে সরেজমিন গেলে ভূক্তভোগী দারাজপুর গ্রামের রফিজ উদ্দিনের ছেলে আঃ রাজ্জাক আলী জানান, প্রতিপক্ষ বৈপিত্রেয় বড়ভাই আব্দুল মজিদ গংদের সাথে দীর্ঘদিন থেকে দারাজপুর মৌজার আর.এস ১২৭নং খতিয়ানের ৮৫৭ দাগের ১০ শতক জমির মধ্যে পৈত্রিক ও কবলামূলেপ্রাপ্ত জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিলো। এরই জের ধরে বসত বাড়ির একাংশ ভেঙে বেড়া লাগিয়ে জমি জবর দখল করে নিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এতে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। এর আগে তিনি ঢাকায় গার্মেন্টস কর্মী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। প্রতিবেশীদের মাধ্যমে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বসতবাড়ি ভাঙ্গার খবর পেয়ে চাকুরী ছেড়ে নিজ বাড়িতে আসেন তিনি। বর্তমানে তিনি এবং তার বাবা পার্শ্ববর্তী চেরাগপুর গ্রামে বোনের বাড়িতে বসবাস করছেন বলে জানিয়েছেন।
এব্যাপারে প্রতিপক্ষের আব্দুল মজিদের স্ত্রী কাজল রেখা জানান, আমরা কারো বসতবাড়ি ভাংচুর করিনি। পুরাতন মাটির বাড়িতে আমাদের থাকার জায়গা না হওয়ায়, নতুন করে ইট দিয়ে রুম করার জন্য যৌথ বাড়িটির পশ্চিমাংশ ভাঙ্গা হয়েছে। এসময় অসাবধানতা বসত তাদের ঘরের কিছু অংশ ভেঙ্গে গেছে। এরপর স্থানীয় গন্যমান্য মাতবর ও সার্ভেয়ার (আমিন) সহ জমি মাপজোক করে সীমানা নির্ধারণ করে দেন। এর আগে তাদের ঘরের দু’টো টিন বেশি খুলে ফেলায় আমাদের বিরুদ্ধে বসতবাড়ি ভাংচুরের মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাদের অভিযোগের কারণে বর্তমানে আমাদের ঘর নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে। এতে আমরাও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি।
নিয়ামতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাবিবুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। এ ঘটনায় আঃ রাজ্জাক আলী বাদী হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উভয় পক্ষের লোকজনকে থানায় বসার জন্য নিদের্শনা প্রদান করেন। এরপর উভয় পক্ষের মহৎ মাতবরগণ বিষয়টি সমাধানের লক্ষে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের লোকজনের বসতবাড়ি সংস্কার করার জন্য আর্থিক সহযোগীতার জন্য বলেন। অথচ, ক্ষতিগ্রস্থ বসতবাড়ি সংস্কার করার জন্য এখন পর্যন্ত কোন আর্থিক সহযোগীতা না পাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন ভূক্তভোগী পরিবারের লোকজন। এমতাবস্থায় সমাধানের জন্য উভয় পক্ষের লোকজনকে আহবান জানানো হয়েছে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :