পটুয়াখালীর বাউফলে ৪টি ইটভাটায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করে বন্ধের ২৪ঘন্টা না যেতেই ফের চালু করা হয়েছে। গত ৮মার্চ ওই চারটি ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করে বন্ধের নির্দেশ দেন ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রতীক কুমার কুন্ডু।
আজ শুক্রবার (১৪ মার্চ) দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, ৩টি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম চলছে আগের মতই। অপর একটি প্রতিষ্ঠানে ধোঁয়া দেখা গেলেও কোন লোকজন পাওয়া যায়নি। সংবাদ সংগ্রহের জন্য গেলে স্থানীয় এক সংবাদকর্মীকে লাঞ্চিত করেন পিভিসি ব্রিকসের মালিক মনির হোসেন (৪৮)।
উপজেলার কাছিপাড়া ইউনিয়নে কোন ধরনের লাইসেন্স বা পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় চারটি ইটভাটা পরিচালনা করে আসছিলেন স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। গত ৮মার্চ উপজেলার কাছিপাড়া ইউনিয়নের পিভিসি ব্রিকস, একই ইউনিয়নের গোপালীয়া এলাকার এসজিআর ব্রিকস, সততা ব্রিকস ও খানজাহান ব্রিকস নামে চারটি ইটভাটার ড্রাম-চিমনি এবং কাঁচা ইট গুড়িয়ে দিয়ে বন্ধের নির্দেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সাথে পিভিসি ব্রিকসের মালিক মনির হোসেন ও সততা ব্রিকসের মালিককে এক লাখ করে, এসজিআর ব্রিকসের মালিক মো. সাগরকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অপর একজনকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়। কিন্তু প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ নির্বাহী মেজিষ্ট্রেটের আদেশ অমান্য ও জেল জরিমানা উপেক্ষা করে পরের দিন থেকে চালু রেখে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন আগের মতই। পিভিসি ব্রিকসে সংবাদ সংগ্রহের জন্য গেলে ইটভাটার মালিক মনির স্থানীয় এক সাংবাদকর্মীকে লাঞ্চিত করেন।
স্থানীয় রেহেনা বেগম বলেন, ব্রিকফিল্ড মালিক মনির অবৈধভাবে নদী তীর থেকে মাটি কেটে নিয়ে যায়। যার কারণে নদী ভাঙনের তীব্রতা আরও বেড়ে গেছে। অনেক বাড়ি ঘর ইতিমধ্যে বিলিন হয়ে গেছে। অনেকে বাড়ি-ঘর ছেরে চলে গেছেন। ঝুকিতে রয়েছেন তার (রেহেনার) বসতভিটা।
এবিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রতীক কুমার কুন্ডু বলেন, ইটভাটাগুলো পুনরায় সচল হওয়ার বিষয়টি জেনেছি। আমাদের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও পরিবেশ অধিদপ্তরকে জানানো হবে। এবং পুনরায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :