ঢাকা থেকে বন্ধুদের নিয়ে নরসিংদীর পলাশে ঘুরতে গিয়ে নদীতে গোসলে নেমে পানিতে ডুবে নিখোঁজ অপর কিশোর মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ (১৭) এর মরদেহ আজ শনিবার সকাল ১০টায় শীতলক্ষ্যা নদী থেকে উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। আসাদ সিরাজগঞ্জ জেলার সললংগা গ্রামের মোঃ কামরুল হাসানের ছেলে। সে উপজেলার ডাংগা ইউনিয়নের কাজীরচর প্রান আরএফএল ইন্ডাষ্ট্রিয়াল পার্কে চাকরি করতেন।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) বিকেলে জেলার পলাশ উপজেলার ডাঙ্গা কাজীরচরে প্রান আরএফএল ইন্ডাষ্ট্রিয়াল পাকের্র পাশে শীতলক্ষ্যা নদীতে এই নিখোঁজের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস জানায়, বিকাল ৪টায় মোঃ মিহাদ ইসলাম (১৮), আসাদুজ্জামান আসাদ (১৭), মোঃ তানভির (১৮) ও মো: সামির খান (১৭) এই চার বন্ধু শীতলক্ষ্যা নদীতে গোসল করতে নামেন। নদীতে নেমে তীব্র স্রোতের মধ্যে পড়ে মোঃ নাহিদ ইসলাম ও আসাদুজামান আসাদ পানির নীচে তলিয়ে যায়। বাকী বেঁচে যাওয়া দুই বন্ধু রেজাউল তানভীর ও মোঃ সামির খান তীরে উঠতে সক্ষম হয়।
পরে তারা স্থানীয় লোকজনদের খবর দিলে তারা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে টঙ্গী থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দল শুক্রবার সন্ধায় মিহাদ ইসলামের লাশ উদ্ধার করে। নিহত মিহাদ মিরপুর ১১ এর পলাশ নগর (পল্লবী) এলাকার শাহজাহান বেপারির ছেলে। রাত ৭ টায় ডুবুরী দল তল্লাশী অভিযান বন্ধ করে আজ শনিবার সকাল থেকে পুনরায় নদীতে তল্লাশী শুরু করে একই স্থান থেকে সকাল ১০ টায় নিখোজঁ অপর কিশোর মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ এর মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহত মিহাদের মামা আমিরুল ইসলাম জানায়, শুক্রবার সকালে মিহাদ বাসা থেকে না বলে বের হয়,তবে কোথায় যাবে তাও বলে যায়নি। সন্ধায় অপর বন্ধুর মাধ্যমে খবর পাই সে নদীতে গোসলে নেমে মারা যায়।এদিকে নিহত আসাদের চাচা মনিরুজ্জামানের জানান,ভাতিজা বন্ধুদের নিয়ে গোসল করতে নেমে পানির নিচে তলিয়ে যায়।খবর পেয়ে আজ লাশ নিতে আসলাম।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আসাদুজ্জামান আসাদ ও রেজাউল তানভির ডাঙ্গা ইউানিয়নের কাজীরচর এলাকায় প্রান আরএফএল ইন্ডাষ্ট্রিয়াল পার্কে চাকরি করতেন। সামির খান ও মিহাদ ঢাকা থেকে তাদের কাছে ঘুরতে এসেছিল। ছোটবেলা থেকেই এই চার বন্ধু রাজধানীর পল্লবী এলাকায় একসাথে চলাফেরা করেছেন।
টঙ্গি ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের লিডার ইদ্দিস আলী জানান, তাদের কেওই সাতার জানতো না। দুইজন গভীর পানিতে চলে যাওয়ায় পানিতে ডুবে যায়। শুক্রবার সন্ধায় ১ ঘন্টা উদ্ধার অভিযান চালিয়ে কিশোর মিহাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয় এবং আজ শনিবার সকালে অপর কিশোর আসাদুজ্জামান আসাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: মনির হোসেন জানান, চার বন্ধুই ঢাকা থেকে ঘুরতে এসেছিল। সাতার না জানায় এমন মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :