গাঁদা ফুলের চাষ করে বে-কায়দায় পড়েছেন কোটচাঁদপুরের চাষিরা। দাম না পেয়ে জমির পাশেই ফুল তুলে ফেলছেন তারা। সেখানেই পচে নস্ট হচ্ছে চাষির স্বপ্ন। চাহিদা কম থাকায় দামও কম বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন।
জানা যায়, ৫ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌর সভা নিয়ে কোটচাঁদপুর। এ উপজেলায় কম বেশি সর্বত্রই গাঁদা ফুলের চাষ হয়ে থাকে। তবে সব থেকে বেশি চাষ হয় কুশনা ইউনিয়নে। এ বছর ৪৫ হেক্টর জমিতে গাঁদা ফুলের চাষ হয়েছে। এ বছর ঊপজেলা জুড়ে ফুল ভাল হয়েছে, তবে কোন সময় ভাল দাম পাননি বলে জানিয়েছেন চাষিরা। এমনকি খরচের টাকা উঠা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছেন তাদের মধ্যে।
তাদেরই একজন নারায়ণ বাড়িয়া গ্রামের ফুল চাষি মিলন হোসেন। তিনিবলেন,গেল ১২/১৫ বছর ধরে আমি গাঁদা ফুলের চাষ করে আসছি। এ বছরও ২ বিঘা জমিতে গাঁদা ফুলের চাষ রয়েছে। চাষ করতে এ পর্যন্ত ৬০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। যা উঠার কোন লক্ষন দেখছি না। তারপরও সামনে দিনে যদি ভাল দাম পাওয়া যায়, সেই আশায় গাছ বাঁচানোর স্বার্থে গাছে থেকে ফুল তুলে ফেলে দেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন,এ মাঠে আমার মত আরো চাষি রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে আমিরুল ইসলাম, আব্দুল হান্নান ও আব্দুল মালেক।
তাদেরও একই অবস্থা। তারাও দাম না পেয়ে গাছ বাঁচাতে গাছ থেকে ফুল তুলে ফেলে দিচ্ছেন।
তিনি আরো বলেন,সারা মৌসুমে যদি আমরা ফুল বিক্রি করতে পারতাম তাহলে ২/৩ লাখ টাকা বেচা সম্ভব হত। ভাল লাভ হত।ফুল বিক্রি নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমরা জমি থেকে ফুল তুলে ঝোপা গাঁথি। এরপর তা ঢাকাগামী বাসে তুলে দিতাম শাহবাহ মার্কেটে জন্য। তারা বেচা-কেনা করে ওনারা বিকাশ অথবা ব্যাংক একাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দেন।
চাষি মিলন হোসেন বলেন,আমার চাষ জীবনে এই প্রথম বড় ধরনের লোকসান হল ফুলে। যা সামনের দিনে পোশানে সম্ভব না বলে মনে করেন তিনি।
কোটচাঁদপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন বলেন,এ উপজেলা সব ইউনিয়ন কম-বেশি ফুলের চাষ হয়ে থাকে। তবে কুশনা ইউনিয়নে গাঁদা ফুলের চাষ বেশি হয়। এ বছর কোটচাঁদপুরে ৪৫ হেক্টর জমিতে ফুলের চাষ হয়েছে।
তিনি বলেন, ফুলের প্রকৃত মৌসুম জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি মাস। ওই সময় ফুল উঠলে চাষী দাম ভালো পায়। কারণ সে সময় ফুলের চাহিদা বেশি থাকে। এখন হয়তো বাজারে ফুলের চাহিদা কম। সে কারণে ফুলের দাম কম বলে মনে করছেন ওই কর্মকর্তা।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :