AB Bank
  • ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ, ২০২৫, ৪ চৈত্র ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ীতে খাস কালেকশনের নামে সরকারের লক্ষাধিক টাকার রাজস্ব ফাকি


Ekushey Sangbad
আবু নাসের লিমন, মুন্সিগঞ্জ
০২:৪৭ পিএম, ১৮ মার্চ, ২০২৫
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ীতে খাস কালেকশনের নামে সরকারের লক্ষাধিক টাকার রাজস্ব ফাকি

মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার হাসাইল বানারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে খাস কালেকশনের নামে সরকারের লক্ষাধিক টাকার রাজস্ব ফাকির অভিযোগ উঠেছে। 


জানাগেছে, হাসাইল খেয়া ঘাট দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার বস্তা আলু উত্তোলন হয়৷ হাসাইল ঘাট দিয়ে আলু উত্তোলন করায় বস্তা প্রতি কৃষককে ঘাটে দিতে হয় ১০ টাকা। প্রতিদিন আনুমানিক ৫-৭ হাজার বস্তা আলু উত্তোলন হয় এই ঘাট দিয়ে। দৈনিক ৫০ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকা কালেকশন হয় এই ঘাটে। আর এই টাকা স্থানীয় চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান দেওয়ান এর লোকজন উত্তোলন করে থাকে। যেখানে প্রতিদিন ৫০-৭০ হাজার টাকা কালেকশন হয় অথচ সেখানে মাসে মাত্র ২০ হাজার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হয়। যার ফলে সরকার লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। 


সোমবার (১৭মার্চ) সকাল ১০ টায় সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, হাসাইল ঘাটে আনুমানিক ১০-১৫ হাজার বস্তা আলু নিয়ে ২০-৩০ আলু বোজাই করা ট্রলার ঘাটে নোঙর করে রেখেছে। নোঙর করে রাখা ট্রলার থেকে লেবার দিয়ে ট্রলিতে আলু গুলো তোলা হচ্ছে এবং বস্তা প্রতি ১২ টাকা করে নিচ্ছেন স্থানীয় পারভেজ শেখ নামে এক ব্যক্তি। তবে  বস্তা প্রতি ১২ টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করে পারভেজ শেখ জানান, আমরা বস্তা প্রতি ১০ টাকা নিয়ে সেখান থেকে ৭ টাকা লেবার কে দেই আর ৩ টাকা আমরা নিচ্ছি। লেবার কে ৭ টাকা দেওয়ার বিষয়টি মিথ্যাচার বলে ওই ঘাটের শ্রমিক রবিউল জানান, আমরা প্রতি বস্তায় পাচ্ছি ৬ টাকা। ওই ঘাট থেকে টাকা কালেকশন করা পারভেজ শেখ আরো বলেন, আমরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান দেওয়ান এর থেকে ইজারা নিয়েই কালেকশন করছি৷ 


এ বিষয়ে হাসাইল বানারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান দেওয়ান বলেন, মূলত আমরা খাস কালেকশন করছি। আমরা লোক দিয়ে ঘাট থেকে বস্তা প্রতি ১০ টাকা করে নিয়ে ৬ টাকা লেবারদের দেই আর আর ৪ টাকা খরচ বাবদ রাখি। প্রতি মাস খাস কালেকশন হিসেবে তহসিলদার কে ২০ হাজার টাকা দেই। হাসাইল বানারী ইউনিয়নের তহসিলদার আব্দুল কাদের জানান, বস্তা প্রতি কত টাকা নেওয়া হচ্ছে তা আমি জানিনা তবে প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা করে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে  আমার কাছে জমা দেয়।  পরবর্তীতে আমি সেই টাকা রাজস্ব খাতে জমা করি। 


তিনি আরো জানান, আমি চেয়ারম্যান কে ইজারা ডাকের মাধ্যমে ঘাট নেওয়ার কথা বলেছি কিন্তু তারা তা না করে খাস কালেকশন করছেন। এ ঘটনায় টঙ্গিবাড়ী উপজেলার ইউনও জানান, এ রকম ঘটনা হলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

Link copied!