যশোর সদরের এক ভিখারির ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া ১১ বছর বয়সী কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
অভিযোগ উঠেছে, গত শনিবার ওই ছাত্রী তাদের বাড়ির পাশে পিয়ার আলী মন্ডলের ছেলে আব্দুর রহমান দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয়।
শিশুটির স্বজনরা জানান, ১১ বছরের শিশু কন্যাকে নিয়ে বসবাস করে একজন একজন নারী। তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করেন। সে কারণে মা সারাদিন বাইরে থাকায় তাদের বাড়িতে কয়েক দিন ধরে চুড়ামনকাটি উত্তরপাড়ার মৃত পিয়ার আলী মন্ডলের ছেলে আব্দুর রহমান অবাধে যাতায়াত করতে থাকে।
ধর্ষণের শিকার শিশুটি জানায়, একটি মোবাইল ফোন কিনে দেওয়ার কথা বলে রহমান তাকে কয়েকদিন ধরে নিয়মিত ধর্ষণ করে আসছে। সর্ব শেষ গত ১৫ মার্চ সন্ধ্যা সাতটার দিকে শিশুটির বাড়িতে রহমান যায় এবং বাড়ির সামনে একটি বন্ধ দোকানের সামনে ডেকে নিয়ে আসে। তারপর আবারও মোবাইলের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে। বিষয়টি মেয়েটি পরদিন তার মাকে জানায়।
এ ব্যাপারে শিশুর মা জানান, ‘মেয়ে আমাকে পুরো ঘটনাটি বলার পর আমি স্থানীয় কয়েকজনকে জানাই। এরপর মঙ্গলবার দুপুরে রহমানের স্ত্রী আমার বাড়িতে এসে থানায় ধর্ষণ মামলা করলে আমাদের এলাকা ছাড়তে হবে বলে হুমকি দেয়। বর্তমানে
তাদের হুমকির কারণে আমি চরম আতংকে রয়েছি’।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমার মেয়ের সাথে যা হয়েছে তার দৃষ্টন্তমূলক শাস্তি দাবি করছি’। এ বিষয়ে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি তদন্ত কাজী বাবুল জানান, ঘটনার খবর পেয়েই আমি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। তবে এ ব্যাপারে এখনো কোনো অভিযোগ করেননি ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে।
সাজিয়ালী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই আব্দুর রউফ জানান, ‘ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তকে আটকে পুলিশি অভিযান শুরু হয়েছে। এছাড়া মেয়েটির পরিবারের নিরাপত্তার বিষয়ে পুলিশ সজাগ রয়েছে’।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :