AB Bank
  • ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ, ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ক্ষেতলাল থানায় বিএনপি নেতার নেতৃত্বে হামলা, পুলিশের পাল্টা অভিযানে গ্রেপ্তার ৫


Ekushey Sangbad
আব্দুল্লাহ সউদ, কালাই, জয়পুরহাট
০৪:৪৮ পিএম, ১৯ মার্চ, ২০২৫
ক্ষেতলাল থানায় বিএনপি নেতার নেতৃত্বে হামলা, পুলিশের পাল্টা অভিযানে গ্রেপ্তার ৫

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল থানায় চাঁদাবাজির মামলার জেরে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী আশিক পার্থের নেতৃত্বে শতাধিক লোক হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার ইফতারের আগে সংঘটিত এই হামলায় দুই পুলিশ সদস্যসহ মোট ছয়জন আহত হন। পুলিশ দ্রুত অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বগুড়ার শাহজাহানপুরের তোফাজ্জল হোসেন সাত বছর আগে ক্ষেতলালের মিজানুর রহমানের কাছ থেকে জমি কেনেন। জমির দলিল সম্পাদনের জন্য মঙ্গলবার তিনি ক্ষেতলাল সাব-রেজিস্ট্রি কার্যালয়ে যান। এ সময় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী আশিক পার্থ এবং পৌর বিএনপির ৯নং ওয়ার্ড সভাপতি কবির চৌধুরীসহ বিএনপির বেশকিছু কর্মী- সমর্থকরা মিলে তোফাজ্জলের কাছে বড় অঙ্কের চাঁদা দাবি করেন। তোফাজ্জল রাজি না হওয়ায় উভয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়,যা একপর্যায়ে মারধরে রূপ নেয়।

বিএনপি নেতার অনুসারীরা তোফাজ্জল ও তার স্বজনদের মারধর করে গুরুতর আহত করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত তোফাজ্জলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করান। পরে তার স্ত্রী জয়নব বেগম চাঁদাবাজির অভিযোগে থানায় মামলা করতে গেলে বিএনপি নেতারা ক্ষুব্ধ হয়ে থানায় হামলা চালান।

ইফতারের আগ মুহূর্তে বিএনপি নেতা মেহেদী আশিক পার্থের নেতৃত্বে প্রায় শতাধিক লোক থানায় এসে চাঁদাবাজির মামলা না নেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। পুলিশের বাধার মুখে তারা থানার ভেতরে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় এবং দুই পুলিশ কনস্টেবল কাজী জাফর ও সুমন মিয়াকে মারধর করে আহত করে।

খবর পেয়ে সেনাবাহিনী, ডিবি পুলিশ ও কালাই থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় এবং ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করে। পরে আরও দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।হামলার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলেন-১. দেলোয়ার হোসেন ওরফে বাবু (৪৭) ২. মো. বিপ্লব হোসেন (২৪) ৩. মো. ফারুক হোসেন (৩২) ৪.উজ্জল (৩৪) ৫. সজিব (২৮)। এ ঘটনায় দুটি পৃথক মামলা হয়েছে। একটি থানায় হামলা ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে এবং অন্যটি চাঁদাবাজির ঘটনায়।

জয়পুরহাট জেলা পুলিশ সুপার মুহম্মদ আবদুল ওয়াহাব বলেন,থানায় হামলার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশের ওপর হামলা ও চাঁদাবাজির ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। একটিতে ২০ জন নামীয় ও অজ্ঞাত ২০০-২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে, অন্যটিতে সাতজন নামীয় ও ২০-২৫ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। অপরাধীদের গ্রেপ্তারে বিশেষ অভিযান চালানো হচ্ছে এবং এ বিষয়ে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান সরকার বলেন, বিএনপি নেতার নেতৃত্বে শতাধিক লোক থানায় হামলা চালিয়ে পুলিশকে মারধর করেছে। আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি এবং দোষীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।”

উপজেলা বিএনপির সভাপতি খালেদুল মাসুদ আঞ্জুমান বলেন, আমি ঘটনাটি শুনেছি। যদি আমাদের দলের কেউ অপরাধে জড়িত থাকে, তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, আমি হামলার সঙ্গে জড়িত নই, বরং পরিস্থিতি শান্ত করতে থানায় গিয়েছিলাম। দলীয়ভাবে আমরা এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসব।

এদিকে, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী আশিক পার্থের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মুঠোফোন বন্ধ থাকায় কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

তবে জেলা বিএনপি এই ঘটনায় উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী আশিক পার্থকে রাতেই কারন দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে। সেখানে উল্লেখ করেছে,সংগঠন বিরোধী কর্মকান্ডে জড়িত থাকার কারনে কেন আপনার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবেনা তা একদিনের মধ্যে জবাব চেয়েছেন জেলা বিএনপি।

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

Link copied!