বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির অভিযোগ করে বলেছেন, গত সাড়ে ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের যে স্বাধীনতা, স্বাধীনতা পরবর্তী ইতিহাসকে ব্যাপকভাবে একপেশে করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে আওয়ামী লীগ একক সম্পত্তি হিসেবে বানিয়ে ফেলেছে। আমরা চব্বিশের গণ অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে সেইরকম একটা প্রবণতা লক্ষ্য করছি।
বুধবার (২৬ মার্চ) মহান স্বাধীনতা দিবসে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, আজকের এ ঐতিহাসিক দিনে সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। বিশেষ করে গনঅভ্যুত্থানে পরবর্তী সময়ে প্রথম স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস। আমরা লক্ষ্য করেছি গত সাড়ে ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের যে স্বাধীনতা, স্বাধীনতা পরবর্তী ইতিহাসকে ব্যাপকভাবে একপেশে করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে আওয়ামী লীগ একক সম্পত্তি হিসেবে বানিয়ে ফেলেছে। আমরা চব্বিশের গণ অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে সেইরকম একটা প্রবণতা লক্ষ্য করছি।
তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানের একক মালিকানা হিসেবে একটি রাজনৈতিক দল গঠিত হয়েছে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, সেই রাজনৈতিক দলটি শুধুমাত্র গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিটকে ধারণ করে তারা রাজনৈতিক দল গঠন করলেও তারা শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট শ্রেণীগোষ্ঠীতে আবদ্ধ হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আপনারা দেখবেন নতুন রাজনৈতিক দলের অভিষেক অনুষ্ঠান ও তাদের যে ইফতার পার্টি হয়েছিল সেখানে বাংলাদেশের গণ-অভ্যুত্থানের যে আইকনিক শহীদ, শহীদ ওয়াসিম, শহীদ মুগ্ধ, শহীদ আবু সাইদ। এরমধ্যে শহীদ সাইদ ও শহীদ মুগ্ধের নাম বারবার বলা হলেও সেখানে আইকনিক শহীদ হলেও শহীদ ওয়াসিমের নামটি বাদ দেওয়া হয়েছে, খুবই উদ্যেশ্য প্রণোদিত ভাবে। তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের একজন নেতা ছিলেন।
ছাত্রদলের এই নেতা বলেন, গণঅভ্যুত্থানের যে মালিকানা দাবি করে যে রাজনৈতিক দল গঠন করা হয়েছে তারাও চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের যে ইতিহাসকে বিনষ্ট করছে। যেরকম বিগত সময়ে আমরা দেখেছি, মহান মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ ইতিহাসকে এইরকম একপেশে করেছিল।
তিনি বলেন, আমরা আজকের এই দিনে মনে করছি, মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস যেমন খুবই গুরুত্বপূর্ণ সবার তথ্য জানা উচিত। একইভাবে চব্বিশের গণ অভ্যুত্থানের যে প্লট, যে ঘটনাগুলো সেগুলোও দেশবাসীকে জানানো উচিৎ। এবং সেই ঘটনা কোনোভাবেই একপেশে হওয়া উচিৎ নয়। আমরা দেখেছি নতুন যে রাজনৈতিক দল গঠিত হয়েছে সে রাজনৈতিক দলের আর্থিক সংকুলানের বিষয়ে ইতোমধ্যে আমরা প্রশ্ন তুলেছিলাম। কিন্তু সেগুলোর বিষয়ে কোনো সদুত্তর পাইনি। বরং গত কয়েকদিনে দেখেছি রাজনৈতিক অঙ্গনে যে চরম বিশৃঙ্খলা, সেটি চরমভাবে মানুষদের বিক্ষুব্ধ করছে। আমরা নতুন প্রজন্মের নতুন যে রাজনৈতিক শুভসূচনা হয়েছে সেখানে বাংলাদেশের প্রতিটি প্রতিটি সাধারণ ছাত্রজনতাকে আজকের এ স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, আমরা বিশ্বাস করি বিএনপি ও ছাত্রদল বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ঐতিহ্যকে ধারণ করি। একই সাথে প্রকৃত যে ইতিহাস, সেটি মুক্তিযুদ্ধ হোক অথবা চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান হোক, সেটির যেন সঠিক ইতিহাস সবাইকে জানানোর উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।
এ সময় তার সঙ্গে ছাত্রদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :