মুসলিম সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপনে আনন্দ ভাগাভাগি করতে রাজধানী থেকে চাঁদপুর ঘাট হয়ে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন মানুষ। প্রতি বছরের মতো এবারও ঘরমুখো মানুষ বেছে নিয়েছেন চাঁদপুরের নদীপথ।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) লঞ্চঘাটে গিয়ে দেখা যায়, চাঁদপুর লঞ্চ টার্মিনালে বেড়েছে ঈদে ঘরমুখো মানুষের ভিড়। পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে চাঁদপুরে আসতে পেরে যাত্রীদের চোখেমুখে আনন্দের ছাপ।
যাত্রীদের হয়রানিমুক্ত রাখতে বারবার মাইকিং করছে প্রশাসন। কিন্তু লঞ্চ থেকে যাত্রীরা নামার সঙ্গে সঙ্গেই সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকরা যাত্রীদের লাগেজ ধরে টানাটানি করছেন। আবার চাওয়া হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। তবে পুলিশ সদস্যদের তৎপরতায় হয়রানি এড়াতে সক্ষম হচ্ছেন অনেকেই। এছাড়া ঘাটে রয়েছে নৌ পুলিশের ভ্রাম্যমাণ টিম। শৃঙ্খলা বজায় রাখতে লঞ্চঘাটে পুলিশের সঙ্গে কাজ করছেন বিআইডব্লিউটিএ, ফায়ার সার্ভিস, আনসার ও স্কাউটের সদস্যরা।
ঢাকা থেকে ঈদ করতে আসা আবির হোসেন বলেন, ঈদের দিনটি অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। পরিবারের সবার সাথে ঈদ করতে লঞ্চে করে আসলাম। লঞ্চ জার্নি আরামদায়ক, তাই লঞ্চে সব সময় যাতায়াত করি। ঈদের সময় বলে এখন একটু ভিড় বেশি।
চাঁদপুর থেকে বরিশালগামী যাত্রী তানিয়া বলেন, চাঁদপুর লঞ্চঘাটে লঞ্চের জন্য অপেক্ষা করছি। দেরি হলে শরিয়তপুর হয়ে যেতে হবে। বাসের থেকে লঞ্চে যাতায়াত সুবিধা। পরিবারের সাথে ঈদের আনন্দটুকু ভাগাভাগি করতে বাড়ি যাচ্ছি।
চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম এস ইকবাল জানিয়েছেন, যাত্রীদের সকল সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে নৌ পুলিশ সার্বক্ষণিক লঞ্চঘাটে অবস্থান করছে। বিশেষ করে আমাদের একটু কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। এখানে যাত্রীরা যে কোন অভিযোগ করলে সাথে সাথে ব্যবস্থা করা হবে। নৌ পুলিশের পাশাপাশি কোস্টগার্ড, ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা নদীতে টহল দিচ্ছে।
উল্লেখ্য, চাঁদপুর লঞ্চঘাট থেকে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, বরিশালসহ বিভিন্ন অঞ্চলে অর্ধশতাধিক লঞ্চ যাতায়াত করে। চাঁদপুর ছাড়াও নোয়াখালী, রায়পুর, লক্ষ্মীপুর, শরীয়তপুরসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলার হাজারও মানুষ এই নৌরুট ব্যবহার করে থাকেন।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :