নাটোরের লালপুর থানা ভবন থেকে গ্রেপ্তারকৃত জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুবেল উদ্দিনকে জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি নাজমুল হক) সহ চার পুলিশ সদস্যকে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাটোরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আমজাদ হোসাইন। তিনি জানান, বুধবার (৯ এপ্রিল) বিকেলে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
জানা গেছে, বাগাতিপাড়া থানার একটি মামলার আসামি হিসেবে রুবেল উদ্দিনকে গতকাল বিকেলে গ্রেপ্তার করে লালপুর থানায় রাখা হয়। খবর পেয়ে তার পরিবারসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের শতাধিক নেতা-কর্মী থানা ভবনে ঢুকে স্লোগান ও হট্টগোল শুরু করে। একপর্যায়ে তারা জোরপূর্বক রুবেল উদ্দিনকে থানার ভেতর থেকেই ছিনিয়ে নেয়।
এই ঘটনায় রাতেই বাগাতিপাড়া থানার উপপরিদর্শক মানিক কুমার চৌধুরী বাদী হয়ে লালপুর থানায় মামলা করেন। মামলায় ৩৮ জনের নাম উল্লেখসহ মোট ১৫৮ জনকে আসামি করা হয়েছে, যাদের মধ্যে ১০০ থেকে ১২০ জন অজ্ঞাতনামা।
ছিনতাইয়ের পরপরই সেনা ও র্যাব সদস্যরা থানায় উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে রুবেল উদ্দিনের দুই বোন রুপা খাতুন (২৫), ফারজানা ইয়াসমিন (২০) এবং কদিমচিলান ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি মাসুদ রানা (৩১)–কে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আজ (বুধবার) বিকেলে অভিযুক্ত রুবেল উদ্দিনকেও পুনরায় আটক করা হয়েছে।
এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে লালপুর থানার ওসি নাজমুল হক, একজন উপপরিদর্শক ও দুইজন কনস্টেবলকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়েছে। নাটোরের পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং দায়িত্বে অবহেলার কারণে সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
একুশে সংবাদ/চ.ট/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :