নেত্রকোনার মদনে পাওনা টাকা চাওয়ায় বন্ধুকে খুন করার ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত মাজহারুল ইসলাম (৩৫) এর ভাই আজিজুল ফকির বাদী হয়ে শাকিল সহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ৭-৮ জন অজ্ঞাত আসামি করে মদন থানায় মামলা করেছেন। মামলার এজাহারের তথ্য অনুযায়ী, মাজহারুল ইসলাম এর মৃত্যু ৫ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঘটে।
মামলার আসামিরা হলেন:
মো. সেকুল মিয়া (২৮),
আমিরুল ইসলাম (৩৫),
রতন ফকির (৪৫),
তৌহিদ (৪৮),
কাকন (২৮),
কাইকুল (৩৫),
শাকিল (২৩),
মো. ছাব্বির হোসেন (২৫),
ইমরান পাঠান (২৪),
মলয় ফকির (২৩),
এছাড়া আরও ৭-৮ জন অজ্ঞাতনামা আসামি রয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২৯ মার্চ রাতে সেকুল মিয়া এর কাছ থেকে পাওনা টাকা ফেরত চায় মাজহারুল। এ নিয়ে তাদের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয় এবং এক পর্যায়ে সেকুল মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে ২৯ মার্চ রাতে রতন, তৌহিদ, কাকন, কাইকুল, ছাব্বির হোসেন, ইমরান ও শাকিল সহ আরও কিছু লোক নিয়ে মাজহারুলের বাড়ির সামনে তার ওপর হামলা করে। হামলায় তারা চাইনিজ রামদা দিয়ে মাজহারুলকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে।
পরে মাজহারুল কে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়, পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পাঠানো হয়। সেখানে তার অবস্থা আরও খারাপ হলে তাকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়, কিন্তু সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৫ এপ্রিল রাতে তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় ৮ এপ্রিল রাতে মাজহারুলের ভাই আজিজুল ফকির বাদী হয়ে মদন থানায় মামলা দায়ের করেছেন। স্থানীয় একাধিক সূত্র দাবি করেছে, নায়েকপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শাকিল ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং তার প্রতিবাদ করায় তাকে হত্যা করা হয়েছে।
মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাঈম মোহাম্মদ নাহিদ হাসান বলেন, "এ ঘটনায় মামলা রুজু হয়েছে এবং আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।"
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :