নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলা এর রাজাপুর ডিগ্রি কলেজ এর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. নজরুল ইসলাম কে অবরুদ্ধ করে জোরপূর্বক পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর করানোর ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বনপাড়া এলাকার একটি রেস্টুরেন্টে এ সংবাদ সম্মেলনটি করেন ভুক্তভোগী অধ্যক্ষ মো. নজরুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ তুগলক তার অনুসারী স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসী নিয়ে বুধবার সকালে তার অফিস কক্ষে প্রবেশ করে তাকে অবরুদ্ধ করে এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এরপর তাকে জোরপূর্বক পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর করানো হয়। তিনি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, “গত জুলাই বিপ্লবের পর, অধ্যক্ষ মোহাম্মদ তুগলক এর বিরুদ্ধে কলেজে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে এবং তিনি ছাত্র-জনতার বিপক্ষে অবস্থান নেন। এর ফলস্বরূপ, কলেজ পরিচালনা কমিটি তাকে তিন মাসের বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠায়। এরপর উপাধ্যক্ষ মো. নজরুল ইসলাম কে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়া হয়।”
অন্যদিকে, অধ্যক্ষ মোহাম্মদ তুগলক এর দাবি, “তিন মাসের বাধ্যতামূলক ছুটি শেষে, কলেজ কর্তৃপক্ষ আমাকে পুনরায় যোগদান করতে বাধা দেয়। তবে, নজরুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে কলেজে অর্থ আত্মসাৎ এবং অশ্লীল অনুষ্ঠান পরিচালনার অভিযোগ উঠে, যার ফলে ছাত্র-শিক্ষক এবং সচেতন অভিভাবকরা আন্দোলন শুরু করেন। তিনি আরও দাবি করেন, নজরুল ইসলাম স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন এবং সেখানে কোন সন্ত্রাসী হামলা হয়নি।”
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :