মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার কালই মোড় থেকে রামকৃষ্ণপুর পর্যন্ত সাড়ে ২ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কের সংস্কার কাজ নির্ধারিত সময়ের এক মাস পেরিয়ে গেলেও শেষ হয়নি। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে হাজারো মানুষ, বিশেষ করে যানবাহন চালক, পথচারী ও শিক্ষার্থীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সরকারি অর্থায়নে এক কোটি ২৭ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়কটির কাজ পায় মীর কনস্ট্রাকশন নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। গত ১০ মার্চ চুক্তি অনুযায়ী কাজ শেষ করার কথা থাকলেও বাস্তবে অধিকাংশ কাজই ঝুলে আছে। রাস্তায় খোয়া ফেলে কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে দীর্ঘদিন ধরে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সড়কের খোঁড়াখুঁড়ি করে বেড তৈরি করলেও সেখানে দীর্ঘদিন ধরে কার্পেটিং না হওয়ায় রাস্তাজুড়ে জমে উঠেছে ধুলোবালি। চলাচলকারী যানবাহন ও বাড়িঘর লাল ধুলোয় ঢেকে গেছে। স্কুলগামী শিক্ষার্থী ও রোগী পরিবহনসহ দৈনন্দিন যাতায়াতে চরম সমস্যা তৈরি হয়েছে।
রিকশাচালক রুবেল বলেন,“এই রাস্তা দিয়ে যেতে গিয়ে প্রতিদিন ধুলায় গাড়িও লাল, আমরাও লাল। সাদা জামা পরে গেলে আর চিনতেই পারা যায় না।”
স্থানীয় বাসিন্দা সনজিত জানান,“এই রাস্তার দুরবস্থার কারণে রিকশা-ভ্যান এলাকাতে আসতেই চায় না। একদিকে রাস্তা খারাপ, অন্যদিকে ধুলায় নাকাল আমরা।”
কালই গ্রামের শরিফ মিয়া বলেন,“আমার বাড়ির টিন, গাছ সব লাল হয়ে গেছে। নাক-মুখ ঢেকে চলাফেরা করলেও সমস্যা হয়। বিকল্প পথ নেই, স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়েই চলতে হচ্ছে।”
হরিরামপুর উপজেলা প্রকৌশল অফিস জানায়, ঝিটকা-রামকৃষ্ণপুর সড়কের ২ হাজার ৬০০ মিটার অংশ সংস্কারের জন্য মীর কনস্ট্রাকশনের সঙ্গে চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল গত মার্চে।
প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী মীর মানিকুজ্জামান মানিক বলেন, “খুব শিগগিরই কাজ আবার শুরু হবে।”
জেলা সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির জানান, “আগামী আট থেকে নয়দিনের মধ্যে কার্পেটিংয়ের কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে বলে আশা করছি।”
জনদুর্ভোগের অবসান কবে?
স্থানীয়দের দাবি, প্রকল্পের সময়সীমা শেষ হয়ে যাওয়ার পরও সংস্কার কাজ ঝুলে থাকা অনভিপ্রেত। দ্রুত কাজ শেষ না হলে রোগ-সংক্রমণসহ নানা স্বাস্থ্যঝুঁকি ও পরিবেশগত সমস্যার আশঙ্কা বাড়ছে।
একুশে সংবাদ//এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :