জীবননগর থানা পুলিশের অভিযানে ছিনতাইকৃত একটি পাখিভ্যানের যন্ত্রাংশ, ব্যাটারি ও বিক্রির নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। একই সঙ্গে ঘটনায় জড়িত মূল আসামিসহ মোট তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন:
বিল্লাল হোসেন (২২), পিতা হাফিজুর রহমান, তিতুঁদহ গ্রামের মাঝের পাড়া, দর্শনা থানা
নবীছদ্দিন (৬৪), পিতা মৃত তমেত মন্ডল, উথলী গ্রাম, জীবননগর
আব্বাস আলী, পিতা আয়ুব আলী, একই গ্রাম
পুলিশ জানায়, অভিযানে ছিনতাই হওয়া পাখিভ্যানের কাঠের বডি, পুরাতন ব্যাটারি, অন্যান্য যন্ত্রাংশ এবং বিক্রির নগদ ১৪,৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
দর্শনা থানার তিতুঁদহ গ্রামের জমির উদ্দিনের ছেলে জিহাদ হোসেন (১৩) গত ২৯ মার্চ সকালে দাদার পাখিভ্যান নিয়ে সরোজগঞ্জ বাজারে ঘুরতে যায়। সেখান থেকে বিল্লাল হোসেন তাকে মোটা অংকের ভাড়ার প্রলোভন দিয়ে জীবননগরের সন্তোষপুর বাজারে নিয়ে আসে। পরে বিভিন্ন কৌশলে জিহাদকে বিভিন্ন স্থানে ঘুরিয়ে এক সময় একতারপুর বাওড় সংলগ্ন একটি আখক্ষেতে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে গলা চেপে ধরে মারধর ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে ছিনতাইকারী পাখিভ্যানটি নিয়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় জিহাদের পরিবারের পক্ষ থেকে ১২ এপ্রিল জীবননগর থানায় দণ্ডবিধির ৩৯৪ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মামুন হোসেন বিশ্বাস জানান, চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মাওলা (বিপিএম-সেবা) এর নির্দেশনায় মামলার তদন্ত শুরু হয়। তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. মেহেদী হাসান গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ১২ এপ্রিল বিকাল ৫টায় তিতুঁদহ বাজার থেকে মামলার এজাহারনামীয় আসামি বিল্লাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করেন। তার কাছ থেকে পাখিভ্যান বিক্রির ১৪,৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
পরবর্তীতে বিল্লালের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে উপজেলার উথলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে নবীছদ্দিন ও আব্বাস আলীকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং পাখিভ্যানের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়।
ওসি মামুন হোসেন বিশ্বাস বলেন, “এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।”
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :