শেরপুর সদর উপজেলার ২নংচরশেরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সেলিম রেজার বিরুদ্ধে চরশেরপুর ইউনিয়ন যুবদল নেতা শাকিলের সম্প্রতি করা মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিক্ষোভ ও মানববন্ধনের প্রতিবাদে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
১৫ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেলে চরশেরপুর তালেব আলী দাখিল মাদ্রাসা মাঠে এই প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় বক্তব্যে রাখেন,স্থানীয় জনপ্রতিনিধি,ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকদল,ছাত্রদল , বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের নেতা ,জামায়াতের নেতাকর্মীসহ সাধারণ জনগণ ৷
বক্তারা বলেন, সেলিম চেয়ারম্যান একজন সৎ ও জনবান্ধব জনপ্রতিনিধি। তাঁর উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি মহল মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে।
ইউনিয়নের কতিপয় নেশাগ্রস্থ চাঁদাবাজ ও মাদক ব্যবসায়ী আমাদের চেয়ারম্যানের নিকট চাঁদাও বাদী করেছে৷তারা এসব মিথ্যাচার ও ষড়যন্ত্র থেকে বিরত না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেন ৷
এছাড়াও এসময় উত্তেজিত জনতা ইউনিয়ন যুবদল নেতা শাকিলের ছবিতে ঝাড়ু–পেটা করে ও দুই গালে জুতা মারো তালে তালে স্লোগান ধরেন।
এসময় বক্তারা আরও বলেন, আমাদের ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গত নির্বাচনে আওয়ামীলীগের দলীয় নৌকা প্রতিকের প্রার্থীকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে চেয়ারম্যান হয়েছেন। কিন্তু চাহিদা মত চাঁদা না দেয়ায় তাকে আওয়ামীলীগের দোসর বানানোর অপচেষ্টা করা হচ্ছে। ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে জড়িয়ে মিথ্যা অপবাদ ছড়ানো হচ্ছে। এছাড়াও শহরের কতিপয় চাঁদাবাজের মদদাতারা চেয়ারম্যানের অপসারণ ও শাস্তি দাবি করে মানববন্ধন করেছে, যা হাস্যকর ব্যাপার। এসময় বক্তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে শাকিল আহমেদ, সাধন, আলমগীর, মানিক ও সোহাগসহ চিহ্নিত চাঁদাবাজদের গ্রেফতার করে বিচারের দাবি করেন।
চেয়ারম্যান সেলিম রেজা বলেন, আমি নৌকার বিপরীতে নির্বাচন করে জয়ী হয়েছি। সমস্যা হলো আমার ইউনিয়ন থেকেই জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ছানুয়ার হোসেন ছানু জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। একই ইউনিয়নের বাসিন্দা হওয়ায় সরকারি কর্মকান্ডে আমাকে বিভিন্ন পোগ্রামে অংশগ্রহন করতে হয়েছে। সেই সব ছবি ব্যবহার করে আমাকে ফ্যাসিস্ট বলা হচ্ছে। সরকার পতনের পর থেকেই আমার কাছে শাকিল গং চাঁদা দাবি করে আসছে। কিন্তু যে পরিমান চাঁদা দাবি করে তা কোনভাবেই দেয়া সম্ভব নয়। এছাড়াও সরকারি কার্ড সব তারা একাই দাবি করে। আমি সব কার্ড তাদের হাতে তুলে দেইনি এটাই আমার অপরাধ।
তবে অভিযুক্ত যুবদল নেতা শাকিল আহমেদ ড্রাইভার বলেন, চাঁদা দাবির প্রশ্নই উঠেনা। আমি ইতোমধ্যে মানববন্ধন করে চেয়ারম্যানের বিচার দাবি করেছি।
প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন শেষে চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে কয়েকজন প্রতিনিধি জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন ৷
আপনার মতামত লিখুন :