নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার চরসুবুদ্দি ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার এক শিক্ষার্থীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে সহকারী শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলামের বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে শতাধিক শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও সচেতন নাগরিক অংশগ্রহণ করেন। প্রতিবাদকারীরা “আমার সোনার বাংলায় ধর্ষকের ঠাঁই নাই”, “শিশু নির্যাতন বন্ধ করো” ইত্যাদি স্লোগানসংবলিত প্ল্যাকার্ড বহন করে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, “একজন শিক্ষকের কাছে শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি নিরাপদ থাকার কথা। অথচ শিক্ষক শফিকুল ইসলামের মতো কেউ যদি শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতন চালান, তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এই ঘৃণ্য অপরাধের সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।”
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, “প্রায় সাত মাস আগে নিজ অপকর্মের দায়ে শিক্ষক শফিকুল ইসলাম পদত্যাগ করেছিলেন। কিন্তু তিন দিন আগে তিনি আবারও মাদ্রাসায় এসে পাঠদান শুরু করেছেন। আমরা চাই না এই প্রতিষ্ঠান কলঙ্কিত হোক। তাই তার চূড়ান্ত অপসারণ চাই।”
অভিযুক্ত শিক্ষক শফিকুল ইসলামের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সামালগীর আলম বলেন, “ওই মাদ্রাসায় মানববন্ধনের বিষয়টি আমরা জেনেছি। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তদন্তের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। খুব শিগগিরই সরেজমিনে গিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হবে। শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখতে যা যা করণীয়, তার সবই করা হবে। আশা করি দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হবে।”
এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয়রা দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :