AB Bank
  • ঢাকা
  • রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

মৌলভীবাজারে বোরো ধানের বাম্পার ফলন, কৃষকদের মুখে হাসির ঝিলিক


মৌলভীবাজারে বোরো ধানের বাম্পার ফলন, কৃষকদের মুখে হাসির ঝিলিক

মৌলভীবাজারে চলতি বোরো মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪০ হেক্টর বেশি জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় জেলায় এবার ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে কৃষকদের মুখে ফুটেছে স্বস্তির হাসি।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে জেলায় বোরো ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ২ লাখ ৪৮ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন। মোট ৬২ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে আবাদ লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও বাস্তবে চাষ হয়েছে ৬২ হাজার ১৪০ হেক্টর জমিতে।

বিশেষ করে বড়লেখার হাকালুকি, রাজনগরের কাউয়াদীঘি এবং শ্রীমঙ্গলের হাইল হাওরসহ জেলার সাতটি উপজেলার বিস্তীর্ণ হাওরাঞ্চলে ধান কাটা চলছে উৎসবমুখর পরিবেশে। প্রচণ্ড খরা ও গরমের মাঝেও মাঠে কৃষকদের ব্যস্ততা চোখে পড়ার মতো। ধান কাটার পাশাপাশি চলছে মাড়াই-ঝাড়াইয়ের কাজ।

 

শ্রীমঙ্গল উপজেলার নওয়াগাঁও গ্রামের কৃষক মো. আজাদ মিয়া বলেন, “এবার আমি ২৭ একর জমিতে ব্রি-৮৮ জাতের ধান লাগাইছি। ফলন খুবই ভালো। প্রতি একরে ৫০ থেকে ৫৫ মণ ধান পাবো আশা করছি।”

একই এলাকার কৃষক ফজলু মিয়া জানান, “আমার ১০ একর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেছি। ফলন ভালো হওয়ায় লাভের আশা করছি।”

হাকালুকি হাওরের পাড়ে থাকা কৃষক আব্দুস সালাম বলেন, “এবার ৪ একর জমিতে ধান লাগাইছি। ফলন এত ভালো যে আশা করছি ২০০ মণ ধান তুলতে পারবো। গতবারের ক্ষতি এবার পূরণ হবে।”

জমি না থাকলেও অন্যের জমি বর্গা নিয়ে আবাদ করা চুনু মিয়া বলেন, “১ একর জমিতে বোরো ধান লাগাইছি। সম্ভবত ৫০ মণ ধান পাবো। ফলন খারাপ না, ভালোই হইছে।”

কৃষক দুরুদ মিয়া বলেন, “আবহাওয়া ভালো থাকায় ফলন ভালো হইছে। আমরা খুব খুশি।”

 

হাইল হাওরের ধান কাটা কাজে ব্যস্ত খাইছড়া ও জাগছড়া চা বাগানের অস্থায়ী শ্রমিক পূজন ভুঁইয়া, রানা ভুঁইয়া, সাজু ভুঁইয়া, সুমন চাষা ও গনেশ মুড়া জানান, “বোরো মৌসুমে আমরা ধান কাটার শ্রমিক হিসেবে কাজ করি। গত বছর মজুরি ছিল ৩৫০ টাকা, এবার ৪৫০ টাকা পাচ্ছি। প্রচণ্ড গরম থাকায় খুব ভোরে কাজ শুরু করি, শেষ হয় দুপুরে।”

 

মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দিন বলেন, “আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার ফলন ভালো হয়েছে। বিশেষ করে ব্রি-৯২ জাতটি হাওর এলাকার মাটি ও আবহাওয়ার সঙ্গে ভালোভাবে মানিয়ে নিয়েছে। আমরা আশা করছি ২ লাখ ৪৮ হাজার ৪০০ মেট্রিক টনের বেশি ধান উৎপাদিত হবে।”

আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবং শিলাবৃষ্টির মতো কোনো দুর্যোগ না ঘটলে এ বছর বোরো মৌসুমটি মৌলভীবাজারের কৃষকদের জন্য একটি সফল অধ্যায় হয়ে থাকবে। বাম্পার ফলনে শুধু কৃষকের মুখেই হাসি নয়, এটি জেলার অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

Shwapno
Link copied!