ঐতিহাসিক বড়াইবাড়ী দিবস উপলক্ষে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কুড়িগ্রামের রৌমারী সীমান্তের বড়াইবাড়ীতে শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সকালে দিবসটি পালন করা হয়। এদিন বড়াইবাড়ী গ্রামকে ‘বীর গ্রাম’ উপাধিতে ভূষিত করেন সাবেক বিডিআর কর্মকর্তারা।
সকাল সাড়ে ১০টায় বড়াইবাড়ী বিজিবি ক্যাম্পের সামনে শহীদ তিন বিডিআর সদস্যের স্মরণে স্মৃতিফলকে পুষ্পমাল্য অর্পণ, র্যালি, আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় বড়াইবাড়ী যুদ্ধের সাহসিকতার স্বীকৃতিস্বরূপ গ্রামবাসীর হাতে ‘বীর গ্রাম’ শিরোনামের ব্যানার তুলে দেন সাবেক বিডিআর কর্মকর্তারা।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দিবস আয়োজনের আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য রুহুল আমিন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল মো. জয়নাল আবেদীন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ সরকারি আনন্দ মোহন কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর তসলিম উদ্দিন, অবসরপ্রাপ্ত মেজর এমডি জামাল হায়দার, যাদুরচর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান, রৌমারী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক, রাজীবপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোখলেছুর রহমান, রৌমারী উপজেলা জামায়াতের আমির হায়দার আলী এবং শহীদ বিডিআর সদস্যদের পরিবারবর্গ।
২০০১ সালের বড়াইবাড়ী যুদ্ধ:
২০০১ সালের ১৮ এপ্রিল ভোরে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার বড়াইবাড়ী গ্রামে অতর্কিত হামলা চালায়। ওই সময় ঘুমন্ত গ্রামবাসীদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় বিএসএফ এবং বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়।
বড়াইবাড়ী দখলকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া ২৪ ঘণ্টাব্যাপী সম্মুখযুদ্ধে শহীদ হন ৩ বিডিআর সদস্য। অপরদিকে, বাংলাদেশের প্রতিরোধে নিহত হয় ১৬ জন বিএসএফ সদস্য। ঘটনায় আহত হন ছয়জন সাধারণ গ্রামবাসী।
এদিনের আলোচনা সভায় বক্তারা এই বীরত্বগাঁথার স্মরণে ‘বীর গ্রাম বড়াইবাড়ী’ নামকরণের প্রস্তাব বাস্তবায়ন করায় গর্ব প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে এই ইতিহাস জানিয়ে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করার আহ্বান জানান।
একুশে সংবাদ//এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :