বাগেরহাটের শরণখোলায় বৈশাখ মাসের মাঝামাঝি সময়ে টানা বৃষ্টিপাত জনজীবনের পাশাপাশি কৃষিকাজেও প্রভাব ফেলছে। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সকাল থেকেই আকাশ ছিল মেঘাচ্ছন্ন। সকাল ১০টার দিকে শুরু হয় মাঝারি ধরনের বৃষ্টি, সঙ্গে ছিল হালকা বজ্রপাত। এর আগের দিন বৃহস্পতিবারও ঝড়-বৃষ্টিতে ভুগেছে স্থানীয়রা।
বৈশাখ মাসে এমন আবহাওয়া দেখে অনেকেই বলছেন, যেন আষাঢ় আগেই এসে গেছে। একটানা বৃষ্টির ফলে সড়কে মানুষের চলাচল কমে গেছে। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা।
সাউথখালী ইউনিয়নের কৃষক লোকমান হাওলাদার বলেন, “আমি ১০ কাটা জমিতে ধান লাগিয়েছি। এখন ধান কাটার সময়, কিন্তু এই বৃষ্টিতে ধান জমিতে পড়ে ভিজে যাচ্ছে। মাড়াইও করতে পারছি না।”
একই ইউনিয়নের বকুলতলা গ্রামের কৃষক মনির আলাদার জানান, “আমার ২ বিঘা জমির ধান পাকতে শুরু করেছে। কাটা শুরু করেছিলাম, হঠাৎ বৃষ্টি আর বজ্রপাতের কারণে সব কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। ধান মাঠেই পড়ে আছে।”
শুধু এই দুই কৃষক নয়, পুরো উপজেলাজুড়ে এমন হঠাৎ আবহাওয়া বদলের কারণে বিপাকে পড়েছেন শত শত কৃষক। অনেকেই আশঙ্কা করছেন, জমিতে ধান ভিজে গেলে চিটা ধরতে পারে, এতে উৎপাদন কমে যাবে এবং আর্থিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়বেন।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দেবব্রত সরকার বলেন, “বৈরি আবহাওয়ার কারণে ধান কাটায় বিলম্ব হচ্ছে। আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে কৃষকদের পাশে থেকে ধান কাটায় সহযোগিতা করা হবে।”
উল্লেখ্য, চলতি মৌসুমে শরণখোলা উপজেলার অধিকাংশ জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছে। এই ধান কাটাই কৃষকদের মূল জীবিকা। ফলে প্রাকৃতিক দুর্যোগে তাদের দুশ্চিন্তা বেড়ে গেছে।
একুশে সংবাদ//এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :