AB Bank
  • ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী
খুলনায় পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান

২৪ ঘণ্টায় ছাত্রলীগ-যুবলীগসহ আ.লীগের ২৫ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার


২৪ ঘণ্টায় ছাত্রলীগ-যুবলীগসহ আ.লীগের ২৫ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

খুলনায় হঠাৎ করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক পরিস্থিতি। মহানগরী ও জেলার বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনগুলোর ঝটিকা মিছিলকে কেন্দ্র করে পুলিশের ব্যাপক ধরপাকড় শুরু হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার অভিযানে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের অন্তত ২৫ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি)।

রোববার বিকেলে নগরীর কয়েকটি স্থানে ঝটিকা মিছিলের পর থেকেই পুলিশের তৎপরতা বাড়ে। রাতভর এবং সোমবার সকাল পর্যন্ত একের পর এক অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গ্রেপ্তারের সংখ্যা বাড়তে থাকলেও এখনো সঠিক তথ্য প্রকাশ করেনি পুলিশ। তবে পুলিশের দাবি, গ্রেপ্তার অভিযান চলমান রয়েছে এবং আরও কয়েকজনকে শনাক্ত করে আটক করা হবে।

সূত্র জানায়, রোববার বিকেলে খুলনা শহরের জিরোপয়েন্ট এলাকায় মিছিলের সময় ডুমুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আলমগীর হোসেনকে হরিণটানা থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে। একই দিন ফুলতলা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আশরাফুল আলমকেও আটক করা হয়।অপরদিকে শিরোমনি এলাকায় মিছিলের প্রস্তুতিকালে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী জাকারিয়া রিপনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সোনাডাঙ্গা থানার পুলিশের পৃথক অভিযানে ১৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নুর ইসলাম, ১৭নং ওয়ার্ড কৃষক লীগের সভাপতি মো. আসিফ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান, ১৬নং ওয়ার্ড গাবতলা ইউনিট আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ আবুজার অনিক, যুবলীগ সদস্য মো. রকিবুল ইসলাম, ১৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ মেহেদী হাসান এবং যুবলীগের সদস্য রুহুল আমিনকে আটক করা হয়। সোনাডাঙ্গা থানার এসআই আব্দুল হাই জানান, বিকেলে বয়রা মহিলা কলেজের সামনে ঝটিকা মিছিলের সময় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মী মো. ওয়ালিদ হাসান ইমনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে রাতে ও সোমবার সকালে সোনাডাঙ্গা মডেল থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে আরও কয়েকজনকে আটক করা হয়।

খুলনা সদর থানার এসআই নান্নু মন্ডল বলেন, সদর থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আ. রশিদ হাওলাদারের ছেলে মহারাজ হাওলাদার (৫৭), মোজাম্মেল মীরের ছেলে মো. মিলন মীর (৪২) এবং টুটপাড়া মেইন রোড এলাকার মো. ফরিদ আহম্মেদ (৬৩) কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

হরিণটানা থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ খায়রুল বাসার জানান, থানার এলাকায় একটি ঝটিকা মিছিলের ঘটনা ঘটে। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে অভিযুক্তদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের কাজ চালানো হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে বিকেলে ডুমুরিয়া আওয়ামী লীগ নেতা কাজী আলমগীর হোসেনকে জিরোপয়েন্ট থেকে আটক করা হয়।

খালিশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম জানান, আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিলের চেষ্টা করলে সেখানে পুলিশ অভিযান চালায়। এ সময় ৪ জনকে আটক করা হয়।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড সিপি) মোহাম্মদ আহসান হাবীব বলেন, “রোববার রাত পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের ২৫ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযান অব্যাহত রয়েছে। যারা এই ঝটিকা মিছিলের সঙ্গে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।”

এই অভিযানের পর খুলনায় জনমনে ফিরেছে স্বস্তি। খুলনা সাধারণ মানুষ পুলিশের এই অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছে এবং প্রয়োজনে এই অভিযান চলমান রাখার দাবি জানিয়েছে।

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

 

Shwapno
Link copied!