AB Bank
  • ঢাকা
  • রবিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৫, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

চাঁদপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষ সিঁড়ির নিচে, এক কক্ষে চলে দুই শ্রেণীর পাঠদান



চাঁদপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষ সিঁড়ির নিচে, এক কক্ষে চলে দুই শ্রেণীর পাঠদান

একতলা বিদ্যালয় ভবনের কক্ষ মাত্র দুটি। ভবনটির সিঁড়ির নিচে বসে দাপ্তরিক কাজ করেন শিক্ষকরা। একটি কক্ষে একসঙ্গে চলে দুই শ্রেণির পাঠদান। সময় ভাগ করে চলে ক্লাস। শ্রেণিকক্ষ সংকটে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান। বছর বছর কমছে শিক্ষার্থীর সংখ্যা।

এটি চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি উপজেলা সদরের দক্ষিণ নিজমেহের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘটনা।

জানা গেছে, উপজেলা প্রশাসন ও পৌর ভবন থেকে মাত্র এক কিলোমিটারের মধ্যেই অবস্থিত দক্ষিণ নিজ মেহের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয়ে রয়েছে মাত্র দুটি কক্ষ। বর্তমানে স্কুলটিতে চালিয়ে যাচ্ছেন ছয়জন শিক্ষিকা। সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে স্কুলটির কার্যক্রম। সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত চলে শিশু, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পাঠদান। বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাঠদান।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সিঁড়ির নিচে চেয়ারে বসে আছেন কয়েকজন শিক্ষক। তাদের জিজ্ঞাসা করা হলে তারা বলেন, শিক্ষকদের কক্ষ না থাকায় এখানেই বসতে হয়। দৃষ্টিকটু মনে হলেও বাধ্য হয়েই এ কাজটি করে যাচ্ছেন বলে জানান তারা। ওই সময় স্কুলটির একটি কক্ষে চলছিল পাঠদান। সেখানে গিয়ে দেখা মিলে দুই শিক্ষকের। তারা একসঙ্গে দুই শ্রেণির ক্লাস নিচ্ছেন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মরিয়ম আক্তার জানান, ২০১৭ সালে তিনি এ বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। এরপর থেকেই প্রতি বছর ভবনের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণের জন্য লিখিত আবেদন করে যাচ্ছেন তিনি। কিন্তু এতে কোনো কাজ হচ্ছে না।

সহকারী শিক্ষিকা জান্নাতুল মাওয়া বলেন, ‘একটি কক্ষে দুটি শ্রেণির পাঠদান করতে সমস্যা হচ্ছে। আমাদের অফিস ও নামাজের স্থান নেই।’

উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আক্তার হোসেন বলেন, ‘বিদ্যালয়টির ভবন প্রয়োজন। আমরা কয়েকবার তালিকাভুক্ত করে ভবনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি। উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরে তালিকাটি পাঠানো হয়েছে। কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি।’ তবে খুব শীঘ্রই নতুন ভবন হবে বলে আশা করছেন এই কর্মকর্তা। 
 

একুশে সংবাদ//চাঁ.প্র//এ.জে

Shwapno
Link copied!