কুমিল্লার তিতাস উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়ন বিএনপির কাউন্সিলকে ঘিরে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এই সংঘর্ষে ৫ জন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন: জহিরুল ইসলাম, রাসেল রানা, আল আমিন, কাউছার ও মাঈনুদ্দিন সরকার খুশু।
আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে তিতাস ও দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে রাসেল নামের একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
রবিবার (২৭ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে নারান্দিয়া কাচারি বাজারে ইউনিয়ন বিএনপির দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল চলাকালে সভাপতি প্রার্থী মাঈনুদ্দিন খুশু এবং জহিরুল ইসলাম গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এ সময় ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম ও উপজেলা ছাত্র দলের সাবেক সভাপতি মাঈনুদ্দিন খুশু গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে ৯নং ওয়ার্ড কমিটি নিয়ে সংঘর্ষ হয়। পরে উভয় গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।
এ সময় আসমানিয়া বাজারের ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত হয়ে দোকানপাট বন্ধ করে দেন এবং দিকবিদিক ছুটতে থাকে। বর্তমানে আসমানিয়া বাজার এলাকার সাধারণ জনগণের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে এবং এলাকাবাসী আবারও যে কোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন।
এ বিষয়ে নারান্দিয়া ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম বলেন, "আমি আমার কর্মী সমর্থক নিয়ে কাচারি বাজার কাউন্সিলে যাওয়ার সময় আসমানিয়া বাজারে মাঈনুদ্দিন ও তার লোকজন আমাকে বাধা দেয়। পরে আমি অন্য রাস্তা দিয়ে গিয়ে নৌকায় করে নদী পাড় হয়ে পশ্চিম পাড়ে গিয়ে পৌঁছলে তারা আমাকে মারধর করে এবং আমার বাড়িতে গিয়ে হামলা চালায়।"
মাঈনুদ্দিন খুশু বলেন, "৯নং ওয়ার্ড কমিটি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়েছিল, এই ঘটনাকে জহির ভাই বহিরাগত লোক দিয়ে আমার ওপর হামলা করেছেন। খবর পেয়ে আমার আত্মীয় স্বজনরা এসে তাদের প্রতিহত করেছে।"
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. ওসমান গনি ভূইয়া বলেন, "আমি এখন মিটিংয়ে আছি।"
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :