AB Bank
  • ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

মাছ ধরতে গিয়ে ভারতের কারাগারে কুড়িগ্রামের ৭ জেলে



মাছ ধরতে গিয়ে ভারতের কারাগারে কুড়িগ্রামের ৭ জেলে

কুুড়িগ্রাম জেলার রাজীবপুরের জিঞ্জিরাম নদী হয়ে ভারতের ভেতরে মাছ ধরতে গিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ভারতীয় কারাগারে আটক রয়েছেন কুড়িগ্রামের রাজীবপুর, রৌমারী ও চিলমারী উপজেলার ৭ জেলে।

দীর্ঘ ৬ মাস ধরে হাজতে আটক থাকলেও কিভাবে তাদের ফেরানো যাবে, তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন তাদের পরিবার। ২০২৪ সালের ৪ নভেম্বর তাদের আটক করে ভারতীয় সীমান্তবাহিনী বিএসএফ। এরপর থেকে তাদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।

সম্প্রতি ভারতের আমপাতি জেলার মাহিন্দগঞ্জ থানার তুরা মেঘালয় থানা এলাকার এক বাসিন্দার মাধ্যমে গোপনে পাঠানো চিঠির মাধ্যমে তাদের সন্ধান মেলে। 

আটক জেলেরা হলেন, রাজীবপুর উপজেলার বালিয়ামারী ব্যাপারী পাড়ার জরিপ উদ্দিনের ছেলে আঙ্গুর হোসেন (২০), রৌমারী উপজেলার যাদুর  চর বকবান্ধা এলাকার ছলিম উদ্দিনের ছেলে চাঁন মিয়া (৬০)।

চিলমারী উপজেলার  রমনা মডেল ইউনিয়নের হরিনের বন্দ এলাকার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে রাসেল মিয়া (৩৫),  রমনা ব্যাপারী পাড়া এলাকার বাহাদুর মিয়ার ছেলে বিপ্লব মিয়া (৪৫), শামছুল হকের ছেলে মীর জাহান আলী (৪৫), মৃত এছাহক আলীর ছেলে বকুল মিয়া (৩২), পকের আলীর ছেলে আমির আলী (৩৫)।

রমনা মডেল ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের  ইউপি সদস্য রুকুনুজ্জামান স্বপন বলেন, হাজতে আটকরা পেশায় জেলে। তারা দীর্ঘ কয়েকবছর ধরে বৈধভাবে ভারতে গিয়ে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতো। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর তারা বৈধভাবে যেতে না পেরে অবৈধভাবে মাছ ধরতে গিয়ে আটক হন।

এদিকে গোপনে স্ত্রীকে পাঠানো মীর জাহান আলীর চিঠির মাধ্যমে জানা যায়, বর্তমানে তারা মেঘালয়ের কালাইর চর পেট্রোল থানা আমপাতিতে রয়েছেন। চলতি মাসে তাদেরকে হাজত থেকে ছাড়িয়ে নিতে না পারলে তাদের স্থায়ী সাজা দেয়া হবে। এদিকে হাজতে আটক জানার পর থেকে জেলে পরিবার গুলো উৎকণ্ঠতায় দিন কাটাচ্ছে।

আটক জেলেদের পরিবারের সদস্যরা জানান, গত বছরের ৩ নভেম্বর ভারতে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে বাড়ী থেকে বেড়িয়ে পড়েন। এরপর থেকে তাদের কোন সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। সম্প্রতি ভারতের আমপাতি জেলার মাহিন্দগঞ্জ থানার তুরা মেঘালয় থানা এলাকার এক বাসিন্দার মাধ্যমে গোপনে পাঠানো চিঠির মাধ্যমে তাদের সন্ধান মেলে।

ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা আরো জানান, তাদের সন্ধান পাওয়ার পর চেয়ারম্যান, ইউএনও ও ডিসি মহোদয়ের কাছে লিখিত ভাবে জানিয়েছেন। ছাড়িয়ে আনতে তারা আশ্বাস দিয়েছেন। তারা চান যেন দ্রুত তাদেরকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হয়।  

আটক জেলে মীরজাহানের স্ত্রী ববিতা বেগম বলেন, ঘরে খাবার নেই। কোনোরকম টেনে টুনে সংসার চালাতে বলে মাছ শিকার করতে চলে যায়। পরে জানতে পারি তারা ভারতে আটক হয়েছেন। সন্তানদের মুখে ঠিকভাবে খাবার দিতে পারছিনা। বড় সন্তানকে বাবার বাড়িতে রেখে আসছি। 

কাজলী বেগম বলেন, "আমরা গরীব মানুষ, নদীতে মাছ শিকার করা আমাদের প্রধান পেশা। প্রতি বছর তার স্বামী বৈধভাবে ভারতে গেলেও এবার ব্যতিক্রম ঘটে। গত ৩ নভেম্বর মাছ শিকার করতে গিয়ে ভারতে আটক হন। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভারতের একটি গণমাধ্যমের বরাতে জানতে পেরেছি। ছেলে মেয়ে নিয়ে খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছি।"

রমনা মডেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম আশেক আঁকা বলেন, ভারতীয় হাজতে আটকরা রাজীবপুরের জিঞ্জিরাম নদীর সীমান্ত এলাকা থেকে আটক হন। আমরা ভুক্তভোগীদের যাবতীয় সহযোগীতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

চিলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সবুজ কুমার বসাক জানান, বিষয়টি আমাদের হাতে নেই। জেলেদের ব্যাপারে পররাস্ট্র মন্ত্রণালয়ে লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে।

রাজীবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফজলে এলাহী বলেন, ভারতের কারাগারে বাংলাদেশি ৭ জেলেকে  ফিরিয়ে আনতে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।

 

একুশে সংবাদ//কু.প্র//এ.জে

Shwapno
Link copied!