যশোরে ভুয়া চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে এক কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার তরুণীকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ ও প্রায় তিন লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুয়া চিকিৎসক হুমায়ুন কবির ও তার বাবা আলী আকবরের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্তরা সদর উপজেলার বাহাদুরপুর আড়পাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার এজাহারে তরুণী উল্লেখ করেছেন, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে তার সঙ্গে হুমায়ুন কবিরের পরিচয় হয়। পরিচয়ের সময় হুমায়ুন নিজেকে চিকিৎসক এবং উচ্চবিত্ত পরিবারের সদস্য বলে পরিচয় দেন। এরপর নিয়মিত যোগাযোগের একপর্যায়ে হুমায়ুন বিয়ের প্রলোভন দেখান।
গত ৩০ ডিসেম্বর এবং ২৩ ফেব্রুয়ারি অভিযুক্ত হুমায়ুন তার বাড়িতে গিয়ে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন। পরে নানা অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে দুই লাখ ৮০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। ২৭ মার্চ ফের বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তার বাড়িতে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন।
পরবর্তীতে ভুক্তভোগীকে ৫০ লাখ টাকা দিতে চাপ দেন হুমায়ুন। টাকা দিতে অস্বীকার করলে তিনি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন এবং বিয়ের বিষয়টি অস্বীকার করেন। তদন্ত করে জানা যায়, হুমায়ুন আদৌ চিকিৎসক নন এবং পূর্বেও বিভিন্ন চাকরিজীবী নারীর সঙ্গে প্রতারণা করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। বিয়ের আশ্বাস দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন ও পরে ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে অর্থ আদায়ের ঘটনা নতুন নয়।
কোতোয়ালি থানা পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে দেখছে বলে জানা গেছে।
একুশে সংবাদ//য.প্র//এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :