গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) অভিযানে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের গ্রিন চ্যানেল থেকে ৪২ হাজার নিষিদ্ধ ট্যাপেনটাডোল ট্যাবলেট জব্দ করা হয়েছে । এ সময় কলকাতা থেকে আসা পাঁচ যাত্রীকেও আটক করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা মাদক কারবারিরা হলো- সোলাইমান (৪৪), হৃদয় ইসলাম রাজু (২৯), এ কে এম আবু সাইদ (৪৭), আশীক সাইফ (৩৬) ও মো. ফারুক। এদের মধ্যে সোলাইমান চক্রের মূলহোতা। এ সময় তাদের সঙ্গে আনা লাগেজ থেকে ৪২ হাজার ২০০ পিস খ শ্রেণির ট্যাপেন্টাডল নামে নিষিদ্ধ মাদক উদ্ধার হয়।
ডিএনসি বলছে, এই চক্রটি তাদের একজন সদস্যকে রোগী সাজিয়ে সীমান্ত এলাকা দিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে নিয়ে যেত। এরপর সেখান থেকে বিমানে করে বিপুল পরিমাণ মাদক নিয়ে আসত। প্রতি মাসে তারা অন্তত ৪/৫ বার এভাবে যাতায়াত করত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মেট্রো উত্তর কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সংস্থাটির ঢাকা বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মজিবুর রহমান পাটওয়ারী।
তিনি বলেন, আমাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিলো একটি চক্র পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে ফেন্সিডিল ও ট্যাপেন্টাডলের বড় চালান এনে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দিচ্ছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে কাজ শুরু করে অধিদপ্তর। চক্রের মূলহোতা সোলাইমান প্রতি মাসে ৪ থেকে ৫ বার ভারতের কলকাতায় যাতায়াত করত। এরপর বিভিন্ন পণ্যের আড়ালে ট্যাপেন্টাডলসহ অন্যান্য অবৈধ মাদক দেশে নিয়ে আসত। এ কাজে সে তার একাধিক সহযোগীকে ব্যবহার করতো। গত আগস্ট মাসে এ চক্রের একজন সদস্যকে ফেন্সিডিলসহ বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরো পড়ুন : বিমানবন্দরে ৪২ হাজার নিষিদ্ধ ট্যাপেনটাডোল ওষুধ জব্দ
মুজিবুর রহমান আরও বলেন, চক্রের সদস্যরা মূলত দেশের সীমান্ত এলাকা থেকে রোগীর চিকিৎসার কথা বলে ভারতে যেতো। এরপর কয়েকদিন অবস্থান শেষে বিপুল পরিমাণ মাদক ও অবৈধ বিভিন্ন পণ্য নিয়ে বিমানবন্দর দিয়ে দেশে ফিরে আসত।
ঘটনার দিন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে একটি দল গ্রীণ চ্যানেল এলাকায় অবস্থান নেয়। চক্রের সদস্যরা এ্যারাইভাল গেট দিয়ে প্রবেশের সময় সোলাইমান ও সহযোগীদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে। ইমিগ্রেশন শেষ করে লাগেজ বেল্ট থেকে তাদের লাগেজ সংগ্রহ করে কাস্টমস চেকিংয়ের কার্যক্রম শেষ করে। সেখান থেকে বের হয়ে গ্রীন চ্যানেল পার হওয়ার সময়ে চক্রের পাঁচজনকে লাগেজসহ গ্রেপ্তার করা হয়। পরে সবার ব্যাগ তল্লাশি চালিয়ে ৪২ হাজার ২০০ পিস মাদক উদ্ধার করা হয়।
একুশে সংবাদ/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :