ছাত্রশিবিরের কর্মীদের গুম-নির্যাতনের ঘটনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও সাত অভিযোগ করা হয়েছে। আজ রোববার সকালে ভুক্তভোগীদের কয়েকজন এসে অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন বিভাগে এ অভিযোগ করেন।
ট্রাইব্যুনালে আলাদা আলাদা অভিযোগ দেওয়া হয়। এদের সবাইকে গুম করে, গুলি করে বা চাপাতি-রামদা দিয়ে হাত পা কেটে ফেলার অভিযোগ দেওয়া হয়। সাতজনের অভিযোগকারীর মধ্যে একজন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। এ ছাড়া দুজন তিন বছরের মতো গুম ছিলেন। চারজন পুলিশ ও র্যাবের নির্যাতনে পঙ্গু হয়েছেন।
ঘটনার সময় পুলিশ, র্যাব ও আওয়ামী লীগের যারা জড়িত ছিল তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। ভুক্তভোগীরা প্রসিকিউশনে এসে তাঁদের কথা বলার সময়আবেগঘন পরিবেশ তৈরি হয়। সবাই সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার চান।
এর আগে, গত ৫ নভেম্বর আওয়ামী লীগের আমলে গুম ও নির্যাতনের ঘটনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ১৪টি অভিযোগ জমা পড়ে। এসব অভিযোগের মধ্যে চারটি অভিযোগ ইসলামী ছাত্রশিবিরের। তাঁদের অভিযোগ, আওয়ামী লীগের সমালোচনা করায় ওই চারজনকে প্রথমে গুম করার পর জঙ্গি নাটক সাজানো হয়। ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে জয়পুরহাট ও যশোরের চারটি ঘটনা উল্লেখ করা হয়। আর সেদিন ১০টি অভিযোগ করেন বিভিন্ন পেশার মানুষ। ফেসবুকে সরকারবিরোধী লেখা এবং ছাত্রশিবিরের সঙ্গে যুক্ত থাকায় আওয়ামী লীগ সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করে তাদের পঙ্গু করে দিয়েছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :