দফায় দফায় টানা প্রায় এক মাস ধরে বাড়ছে মুরগির দাম। রমজানের প্রথমদিন কিছুটা কমেছে মুরগির দাম।
শুক্রবার (২৪ মার্চ) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ তথ্য জানা যায়। তবে এদিনও বৃহস্পতিবারের দামেই বিক্রি হচ্ছে সবজি, মাছ, মুদিপণ্য ও নানা পদের ফল।
কারওয়ানবাজারের বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা কমে ২৪৫-২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সোনালির দাম ২০ টাকা কমে নেমেছে ৩৬০ টাকায়, আর দেশি মুরগি ৬৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, মূলত চাহিদা কমে যাওয়ায় দাম কমেছে। তারা জানান, আগের তুলনায় তাদের বিক্রি কমে গেছে। এ অবস্থায় দাম আরও কমতে পারে বলে জানান তারা।
তবে ক্রেতারা বলছেন, এখনও তাদের নাগালের বাইরেই রয়ে গেছে মুরগি ও ডিম।
এদিকে, বাজার তদারকিতে সকাল থেকে অভিযানে নেমেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোকে মুরগির দাম সমন্বয়ের জন্য ডাকে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। সেখানে ব্রয়লার মুরগির দাম পাইকারি পর্যায়ে কেজিতে ৩৫ টাকা থেকে ৪০ টাকা কমিয়ে ১৯০ টাকা থেকে ১৯৫ টাকায় বিক্রি করতে রাজি হয় করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো।
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান বলেন, ‘মুরগির দাম ২০০ টাকার বেশি হতে পারে না। অথচ সেখানে বৃহস্পতিবারও মুরগি বিক্রি হয়েছে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা দরে। অস্বাভাবিক মূল্যের কারণে করপোরেট হাউজগুলোর সঙ্গে আমরা বৈঠক করেছি।’
এদিকে বৃহস্পতিবার এফবিসিসিআইয়ের বোর্ডরুমে ‘রমজান উপলক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি, মজুত, সরবরাহ ও বাজার পরিস্থিতি’ নিয়ে মতবিনিময় সভা হয়। এতে এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, শিগগিরই বাজারে মুরগি ও গরুর মাংসের দাম না কমালে সরকার এগুলো আমদানির পথে হাঁটবে। আর তখন এফবিসিসিআই আপত্তি জানাবে না।
এসব কারণে মুরগির দাম কমতে পারে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
একুশে সংবাদ.কম/জ/এসএপি
আপনার মতামত লিখুন :