আসন্ন ঈদুল আজহায় কারসাজি করে চামড়ার দাম কমালে ওয়েট ব্লু চামড়া বিদেশে রফতানির অনুমোদন দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
রোববার (২৫ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে কোরবানির পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সভা শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
চামড়ার দাম কমাতে ট্যানারি ব্যবসায়ীরা অনেক ক্ষেত্রে নিজেরাই সমস্যা তৈরি করে বাজারে অস্থিরতা সৃস্টি করে। তাদের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা; প্রশ্নে তিনি বলেন, ট্যানারি ব্যবসায়ীরা যদি ইচ্ছা করে দাম কমানোর জন্য গেইম খেলে, তাহলে তাহলে আমরা কাচাচামড়া বিদেশে রফতানির অনুমতি দেবো। চিন্তা করার কোনো কারণ নেই। আমরা চাই না সেটা হোক।
মন্ত্রী বলেন, আগেও এটি হয়েছে। ওয়েট ব্লু চামড়া আমরা রফতানি করি। যখনই আমরা রফতানির অনুমতি দিই, তখনই দেখা যায় দামের কিছুটা উন্নতি হয়। এ বছরও আমাদের ঘোষণাটি হলো কারসাজির মাধ্যমে দাম কম নেওয়া, দেওয়া বা চামড়া না নেওয়ার চেষ্টা করলে আমরা ওয়েট ব্লু চামড়া রফতানির অনুমোদন দেবো।
খাসির চামড়ার দাম না বাড়ানোর বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি ফিক্স রাখার বিষয়ে আমাদের যে অভিজ্ঞতা, আমরা গত বছর এবং তার আগের বছর দেখেছি দাম একই রাখার পরও সমস্যা। সেজন্য আমরা দামটা বাড়াতে চাইনি।
“আর সত্যিকার অর্থে যদি চাহিদা থাকে, আমরা নির্ধারণ করে যখন দিই, সেটি যদি ডিমান্ড থাকে, তাহলে তো তার চেয়ে বেশিতে কিনতে তো কোনো বাধা নেই। এটি নির্ভর করে চাহিদা ও সরবরাহের উপর। আমরা মিনিমাম দামটা ঠিক করে দিচ্ছি, তারচেয়ে বেশি দাম দিতে বাধা নেই।
চামড়ার দাম মনিটরিং প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দামটা আসলেই মনিটরিং করা দরকার। একটা মনিটরিং কমিটি আছে জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশসহ সংশ্লিষ্টদের সমন্বয়ে। সেই মনিটরিং টিম এটি দেখভাল করবে যাতে করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়। রাষ্ট্রীয় কোষাগারে চামড়া নিয়ে রাখলে ১০ শতাংশ চামড়াও রক্ষা করা যাবে না। কারণ আমাদের তেমন কোনো সিস্টেম ডেভলপ করেনি।
লবণের দাম প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশি বলেন, লবণের দামটা যৌক্তিক নয় যেভাবে বৃদ্ধি করা হয়েছে। তবে আমাদের শিল্প মন্ত্রণালয় যেহেতু এটি নিয়ন্ত্রণ করে উৎপাদন কতোটুকু, এবং দাম কতো হওয়া উচিত সেগুলো তারা ভালো বলতে পারবে। আমরা সঠিক দামটা আজ বা কালকের মধ্যে জানতে পারলে আমাদের তরফ থেকে চেস্টা করতাম সেই দামের মধ্যে রাখার। আমরা চেস্টা করব দাম যা আছে কোরবানির সময় যেন তার চেয়ে বৃদ্ধি না করা হয়।
একুশে সংবাদ/আ.জ.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :