২০২২-২৩ অর্থবছরে অর্থনীতির নানা চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট আদায়ে বড় ধরনের প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে।
চূড়ান্ত হিসাবে, গত অর্থবছরে ভ্যাট সংগ্রহে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৭ শতাংশ; ২০২১-২২ অর্থবছরে এই প্রবৃদ্ধি ছিল ১১ দশমিক ১৯ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি ভ্যাট আদায় হয়েছে সিগারেট থেকে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) জানিয়েছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে এনবিআরের মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) বিভাগের সংগ্রহ ১৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে এই অর্থবছরে ১ দশমিক ২৫ লাখ কোটি টাকা আয় করেছে। আগের অর্থ বছরে যা ছিল ১ দশমিক ৮ লাখ কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) বার্ষিক কর্মক্ষমতা প্রতিবেদনে এই অর্জনকে ‘ব্যতিক্রমী’ বলে অভিহিত করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি শাখা অর্থ বিভাগ।
এনবিআরের ভ্যাট বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, সদ্য সমাপ্ত ২২ অর্থবছরের তুলনায় ১৭ হাজার ৪ কোটি টাকা বেশি ভ্যাট সংগ্রহ করা হয়েছে।
এর মধ্যে অর্থবছরের শেষ মাস জুন মাসে এনবিআরের অর্জন উল্লেখযোগ্য। জুন মাসে ১৭ দশমিক ৭০ শতাংশ প্রবৃদ্ধিসহ ভ্যাট আদায়ের পরিমাণ ১৫ হাজার ৬১৪ কোটি টাকা।
জানা গেছে, সবচেয়ে বেশি ভ্যাট আদায় হয়েছে সিগারেট থেকে। এই খাত থেকে ভ্যাট এসেছে ৩২ হাজার ৮১৮ কোটি টাকা, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা বেশি।
প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ১০ শতাংশ। এরপর রয়েছে মোবাইল ফোন অপারেটরদের অবস্থান। যা থেকে ৯ হাজার ৪৩৮ কোটি টাকা ভ্যাট আদায় করা হয়েছে।
এছাড়া এমএস রড থেকে ভ্যাট আদায়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ, কোমল পানীয়তে ৩১ দশমিক ১৯ শতাংশ, সিমেন্ট থেকে ৩৩ দশমিক ৭২ শতাংশ, বাণিজ্যিক স্থান ভাড়া থেকে ২০ দশমিক ১১ শতাংশ। পেট্রোবাংলার গ্যাস ও বিপিসির পেট্রোলিয়াম পণ্যেও প্রবৃদ্ধি হয়েছে যথাক্রমে ২১ দশমিক ৬৮ ও ২৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
এ ব্যাপারে এনবিআরের ভ্যাট বাস্তবায়ন ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সদস্য মইনুল খান বলেন, অর্থবছরে অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতি ছিল। ব্যয় নিয়ন্ত্রণ নীতির কারণে বেশ কয়েকটি প্রকল্প থেকে ভ্যাট পাওয়া যায়নি।
ব্যবসায়ীরা জানান, অনেক কোম্পানি নিয়মিত এলসি খুলে পণ্যের কাঁচামাল আমদানি করতে না পারায় স্বাভাবিক উৎপাদন করতে পারছে না।
মইনুল ইসলামের মতে— ভোজ্যতেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছু পণ্যকে ভ্যাট অব্যাহতি দিতে হবে। এই চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও, ‘আমি মনে করি ভ্যাটের ১৭ শতাংশ বৃদ্ধি একটি বড় অর্জন।’
একুশে সংবাদ/জ/এসএপি
আপনার মতামত লিখুন :