মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনে চাহিদা কমে যাওয়ার উদ্বেগের মধ্যে বিশ্ববাজারে সোমবার (১৩ নভেম্বর) কমেছে জ্বালানি তেলের দাম।
আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানায়, সোমবার (১৩ নভেম্বর) জানুয়ারি মাসে সরবরাহ হতে যাওয়া ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ৩৫ সেন্ট বা ০.৪ শতাংশ কমে ব্যারেলপ্রতি ৮১.০৮ ডলারে ঠেকেছে। এছাড়া ডিসেম্বর মাসে সরবরাহ হতে যাওয়া ইউএস ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) ক্রুডের দাম ৩৫ সেন্ট বা ০.৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৭৬.৮২ ডলারে।
এর আগে, গত শুক্রবার (১০ নভেম্বর) উভয় বেঞ্চমার্কের দামই প্রায় ২ শতাংশ বেড়ে গিয়েছিল। কারণ ইরাক ওপেক প্লাসের তেল উত্তোলন কমানোর সিদ্ধান্তে সমর্থন জানিয়েছিল। কিন্তু গত সপ্তাহে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম প্রায় ৪ শতাংশ পড়ে গেছে।
নিসান সিকিউরিটিজের ইউনিট এনএস ট্রেডিংয়ের প্রেসিডেন্ট হিরোয়ুকি কিকুকাওয়া বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে চলমান সংঘাতের কারণে যে সরবরাহ সংকট হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছিল, সেটি কিছুটা কমে গেছে। কিন্তু বর্তমানে বিনিয়োগকারীদের নজর মূলত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের বাজার চাহিদার দিকে রয়েছে।
গত সপ্তাহে ইউএস এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (ইআইএ) জানিয়েছে, চাহিদা পড়ে গেলে এ বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অপরিশোধিত তেলের উৎপাদন আগের যে পরিমাণ বাড়ার প্রত্যাশা করা হচ্ছিল, সে তুলনায় কিছুটা কম বাড়বে।
এদিকে, বিশ্বের বৃহত্তম অপরিশোধিত তেল আমদানিকারক দেশ চীনে গত সপ্তাহে প্রকাশিত অর্থনৈতিক তথ্য দেশটিতে জ্বালানি তেলের চাহিদা কমে যাওয়ার উদ্বেগ বাড়িয়েছে। তাছাড়া বিশ্বের বৃহত্তম জ্বালানি তেল রফতানিকারক দেশ সৌদি আরবকে চীনা তেল পরিশোধনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ডিসেম্বর মাসের জন্য কম পরিমাণ তেল সরবরাহ করতে বলেছে।
অন্যদিকে, গত সপ্তাহে বিশ্বের শীর্ষ জ্বালানি তেল রফতানিকারক দেশ সৌদি আরব ও রাশিয়া চলতি বছরের শেষ নাগাদ দৈনিক এক মিলিয়ন ব্যারেলেরও বেশি তেল উত্তোলন কম করবে বলে আবারও জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, বিশ্বের শীর্ষ তেল উৎপাদনকারী দেশগুলো ‘দ্য অরগানাইজেশন অব দ্য পেট্রোলিয়াম কান্ট্রিস’ যা ওপেক নামে পরিচিত। আবার ওপেকের বাইরে অন্যান্য তেল উৎপাদনকারী দেশ ও ওপেক সদস্যদের একত্রে ওপেক প্লাস নামে অভিহিত করা হয়।
একুশে সংবাদ/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :