বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দেয়ার মতো কোনও পরিস্থিতি বাংলাদেশে নেই বিকে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী যা করার করতে হবে। তাই ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) সচিবালয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
তপন কান্তি ঘোষ বলেন, আমরা যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে কোনও সুযোগ পাই না। ফলে নতুন মার্কিন শ্রম নীতি উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে দেশটির উদ্বেগের সঙ্গে বাংলাদেশের নির্বাচনের কোনও সম্পর্ক নেই।
তিনি বলেন, ইউএস শ্রম নীতি গ্লোবাল ইস্যু। যারা ট্রেড ইউনিয়ন নিয়ে কাজ করেন, তাদের বিরুদ্ধে যেন কোনও পদক্ষেপ নেয়া না হয়, সেই চেষ্টা থাকতে হবে। এটা আসলে চলমান প্রক্রিয়া।
বাণিজ্য সচিব বলেন, আমরাও চাই আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) স্ট্যান্ডার্ড বজায় রাখতে। তাই নতুন মার্কিন শ্রম নীতি নিয়ে কোনও চাপ অনুভব করছি না। ইতোমধ্যে আমাদের অনেক অর্জন হয়েছে।
তবে রপ্তানি আয় কমে যাওয়ার পেছনে ইউরোপের মন্দাভাব কিছুটা দায়ী বলে মনে করেন তপন কান্তি ঘোষ। তিনি বলেন, আমাদের মোট রপ্তানির মাত্র ১৭ শতাংশ হয় যুক্তরাষ্ট্রে। আর ইউরোপে করে থাকি ৫৫থেকে ৬০ ভাগ। যথেষ্ট শুল্ক দিয়েই আমরা আমেরিকায় পোশাক পাঠাই।
বিশ্বব্যাপী কর্মীদের ক্ষমতায়ন, অধিকার ও হাই-লেবার স্ট্যান্ডার্ড উন্নয়ন ইস্যুতে গত ১৬ নভেম্বর প্রেসিডেন্সিয়াল মেমোরেন্ডাম ঘোষণা করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি জে ব্লিংকেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, যারা ইউনিয়ন নেতা, শ্রমিক অধিকার রক্ষাকারী এবং শ্রমিক সংগঠনকে আক্রমণ করে, তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা, বাণিজ্য বিষয়ক জরিমানা ও ভিসা নিষেধাজ্ঞার মতো পদক্ষেপ নেয়া হবে।
ইতোমধ্যে শ্রমমান ও শ্রমিক অধিকার বিষয়ে মার্কিন নতুন নীতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে ওয়াশিংটনের বাংলাদেশ দূতাবাস। তারা বলছে, দেশের রাজনৈতিক ইস্যু ঘিরে এটি ব্যবহার করা হতে পারে পোশাক খাতে।
ওই চিঠিতে বলা হয়, শ্রম পরিবেশ আর শ্রমিক অধিকার রক্ষার ইস্যু বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কিত। কাজেই অবহেলা না করে গুরুত্ব দিতে হবে এই বিষয়ে। যদিও নীতিটি সর্বজনীন। তবে শঙ্কা রয়েছে বাংলাদেশকে লক্ষ্য বানানোর।
একুশে সংবাদ/চ.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :