কয়েক মাস ধরে স্থিতিশীল ছিল ডিম ও ব্রয়লার মুরগির দাম। কিন্তু হঠাৎ অস্থিরতায় ডিম ও ব্রয়লার মুরগি বাজার। অসহনীয় পর্যায় চলে যায় ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের দাম। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে ডিম, বয়লার মুরগী ও আলুর। ক্রেতাদের অভিযোগ, দুদিন আগেও যে আলু ৫০ থেকে ৬০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছিল তা এখন বেড়ে (আকারভেদে) ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রোববার (১৭ ডিসেম্বর) ঢাকার একাধিক কাঁচাবাজারে এমন চিত্র লক্ষ্য করা গিয়েছে।
শান্তিনগর, মগবাজার ও কাওরান বাজারে পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা জানান, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডজনপ্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে লাল ও সাদা ডিমের মূল্য। বাজারে প্রতি ডজন লাল ডিম ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা এবং সাদা ডিম ১২৫ থেকে ১৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর ডজনে ২০ টাকা বেড়ে হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা।
ডিমের পাশাপাশি বাড়তে শুরু করেছে মুরগির দাম। কেজিতে ১৫-২০ টাকা বেড়েছে ব্রয়লার মুরগি বিক্রির দাম। গত সপ্তাহেও ১৮০ টাকায় বিক্রি হওয়া এসব মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকা কেজিতে। ব্রয়লার মুরগির মতোই দাম বেড়েছে সোনালি মুরগির। কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩১০ থেকে ৩২০ টাকায়।
এসবের মধ্যে স্থিতিশীল রয়েছে সবজির বাজার। বাজারে দেশি পেঁয়াজ ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা, মুড়িকাটা নতুন পেঁয়াজ ১০০ থেকে ১১০ টাকা ও আমদানিকৃত ভারতীয় পেঁয়াজ ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে। ভারত রপ্তানি বন্ধের পর পেঁয়াজের বাজারে যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল, সে অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে।
রাতারাতি ২০০ টাকা কেজি ছাড়িয়ে যাওয়া পেঁয়াজের দাম এখন নিম্নমুখী। তবে এখনো চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে আদা-রসুন। দেশি রসুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা, যা সপ্তাহ খানেক আগে ছিল ২০০ থেকে ২২০ টাকা। চায়না রসুনের কেজি পাওয়া যাচ্ছে ২৩০ থেকে ২৪০ টাকায়। এ মানের রসুনের কেজিতে সপ্তাহের ব্যবধানে ৩০ থেকে ৪০ টাকা বেড়েছে।
ফুলকপি ও বাঁধাকপির আকার ভেদে দাম ৪০ থেকে ৫০ টাকা করে। প্রতি পিস লাউয়ের দাম ৭০-৮০ টাকা। শিম জাত ভেদে প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। বেগুন ৭০- ৮০ টাকা, মুলা ও বরবটির কেজি বিক্রি হচ্ছে মান ভেদে ৮০ থেকে ১০০ টাকা।
কাঁকরোলের কেজি ৭০-৮০ টাকা, চিচিঙ্গা, শসা, ঝিঙে, ঢ্যাঁড়স ও পটোলের কেজি ৭০ থেকে ৯০ টাকা। কাঁচা মরিচ ১৪০- ১৬০ টাকা কেজি। গাজর ৮০-১০০ টাকা কেজি, কাঁচা কলার হালি ৪০-৫০ টাকা, লেবুর হালি ৩০-৪০ টাকা।
খুচরা সবজি বিক্রেতারা জানান, দাম কমা বা বেশির সঙ্গে তাদের কোন হাত নেই। মোকামে দাম বেশি হলে, বেশি দামে বিক্রি করতে হয়। বাজারে যোগান কম থাকলে দামও বেশি।
একুশে সংবাদ/এএইচবি/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :