পোশাকখাতে উৎপাদন খরচ যে হারে বেড়েছে, সেই হারে চাহিদা বাড়েনি, বরং কমে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন নিট পোশাকশিল্প মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিকেএমইএর সহ-সভাপতি আখতার হোসেইন অপূর্ব।
আজ রোববার (৩১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইএসআইএস) আয়োজিত এক সেমিনারে একথা বলেন তিনি।
দেশের পোশাকখাতের বর্তমান অবস্থা নিয়ে বিকেএমইএর সহ-সভাপতি বলেন, সবাই পোশাক শ্রমিকদের বেতন বাড়ানোর কথা বলছেন। কিন্তু বৈশ্বিক পরিস্থিতির দিকে তাকালে বোঝা যাবে, যে হারে দেশের পোশাকখাতে উৎপাদন খরচ বেড়েছে, সেই হারে চাহিদা বাড়েনি, বরং কমে গেছে।
দেশের পোশাকখাত নিয়ে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভের সুদহার বৃদ্ধির প্রভাব বিশ্বের প্রতিটি খাতে পড়েছে, বাংলাদেশ তার ব্যতিক্রম নয়। বৈশ্বিক অস্থিরতার কারণে দেশের পোশাকখাত বড় রকমের চাপের মধ্যে আছে।
অপূর্ব আরও বলেন, করোনার সময় পোশাক মালিকরা বাজারে টিকে থাকতে বড় আকারে ঋণ নিয়েছেন। করোনা মহামরি শেষ হতে না হতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়েছে। এতে গার্মেন্টস মালিকরা আরও চাপের মুখে পড়েছেন।
শ্রমিকদের মজুরি নিয়ে তিনি বলেন, ‘অনেকেই বলছেন শ্রমিকদের বেতন কম করে হলেও ১৫ হাজার টাকা হওয়া উচিত। বর্তমান ১২ হাজার ৫০০ টাকার সঙ্গে ওভারটাইম যোগ করলে বেতন ১৫ হাজার টাকা উঠে যায়। এদিকে আমাদের নজর দেয়া উচিত।’
বিকেএমইএ সহ-সভাপতি বলেন, গার্মেন্টস দেশের সামাজিক অবস্থাকে বদলে দিয়েছে। আগে গ্রামে যেসব মেয়ে বাল্যবিবাহের শিকার হতো, পোশাকখাতের কল্যাণে তারা আজকে স্বাবলম্বী। দেশের অর্থনীতি শুধু বেতন দিয়ে না, সামগ্রিক এ পরিবর্তন দিয়ে বিচার করতে হবে।
তিনি বলেন, বৈশ্বিক পোশাকখাতে চীনের শেয়ার ৪০ শতাংশ। এতে বাংলাদেশের দখল রয়েছে ২০.২৫ শতাংশ। চীন কেন্দ্রিক পশ্চিমাদের অস্বস্তি অজানা নয়। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ছাড়া তাদের বড় কোনো বিকল্প নেই। একই সঙ্গে এটি বাংলাদেশের জন্য বড় একটি সুযোগও বটে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :