স্বর্ণ সবারই পছন্দ। কিন্তু স্বর্ণ কিনতে গিয়ে অনেক সময় প্রতারিত হতে হয়। শুধু ওপর থেকে ডিজাইন দেখে গহনা কিনলেই হয় না। সেটার গুণগত মান সম্পর্কেও জানতে হয়। কারণ, স্বর্ণ হলো আজীবনের বিনিয়োগ। সাম্প্রতিক সময়ে নিরাপদ আশ্রয় ধাতুটির দাম ক্রমাগত বেড়ে চলছে। ফলে শুধু অলঙ্কার হিসেবেই নয়, বিপদের সময়ে ত্রাতা হয়ে উঠতে পারে এটি।
জুয়েলারি দোকানে গেলে নানা ধরনের গহনা দেখান বিক্রেতারা। সেখানে ১৪, ১৮, ২২ ও ২৪ ক্যারেটের স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া যায়। এখন প্রশ্ন হলো এগুলোর মধ্যে পার্থক্য কী? ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমে সেসব তুলে ধরা হয়েছে-
২৪ ক্যারেট: এটি হলো ১০০ শতাংশ খাঁটি। এতে অন্য কোনো ধাতু মেশানো থাকে না। এটিই সবচেয়ে বিশুদ্ধ স্বর্ণ। স্বাভাবিকভাবেই এর দর সবচেয়ে বেশি। এই ধরনের স্বর্ণ নমনীয়। তাই গহনা তৈরিতে তা ব্যবহার করা হয় না। মূলত, বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে তাতে টাকা ঢালা হয়। তবে কখনও কখনও কয়েন, বার, ইলেকট্রনিক্স ও মেডিকেল ডিভাইস তৈরিতে এটি ব্যবহৃত হয়।
২২ ক্যারেট: প্রধানত গহনা তৈরিতে এটি ব্যবহৃত হয়। এই স্বর্ণ ৯১ দশমিক ৬৭ শতাংশ খাঁটি। এতে সামান্য পরিমাণে রুপা, দস্তা, নিকেল এবং অন্যান্য মিশ্র ধাতু মেশানো থাকে। যে কারণে বেশি শক্ত হয়। এই ধরনের স্বর্ণ দিয়ে তৈরি গহনা অধিক টেকসই হয়।
১৮ ক্যারেট: এতে ৭৫ শতাংশ স্বর্ণ এবং ২৫ শতাংশ অন্যান্য ধাতু যেমন- তামা, রুপা মেশানো থাকে। পাথরখচিত ও হীরার গহনা তৈরিতে এটি ব্যবহৃত হয়। এই ধরনের অলঙ্কার তুলনামূলক সস্তা হয়। এর রঙ হালকা হলুদ থাকে। এটি ২২ বা ২৪ ক্যারেটের চেয়ে শক্তিশালী। ওজন কম হওয়ায় প্রচলিত গহনা এবং সাধারণ নকশা তৈরিতে যা ব্যবহৃত হয়।
১৪ ক্যারেট: এটি হলো ৫৮.৫ শতাংশ খাঁটি। বাকিটা অন্যান্য ধাতুর মিশ্রণ। এই ধরনের স্বর্ণ সবচেয়ে কঠিন, টেকসই এবং দামেও সস্তা। এটি দিয়ে দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য গহনা বানানো ভালো। তবে পরার জন্য ১৮ ও ২২ ক্যারেটের স্বর্ণ সবচেয়ে উপযুক্ত।
একুশে সংবাদ/ব.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :