মাসব্যাপী বাণিজ্যমেলার পর্দা নেমেছে আজ। মেলায় আনুমানিক প্রায় ৪০০ কোটি টাকার পণ্য বিক্রয় হয়েছে বলে জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)। বিক্রির এই পরিমাণ গত বছরের থেকে প্রায় ১৫ শতাংশ বেশি। এছাড়া মেলায় আনুমানিক প্রায় ৩৫ দশমিক ৬২ মিলিয়ন ডলারের রফতানি আদেশ মিলেছে। যা গত বছরের তুলনায় ১৭ দশমিক ২৫ শতাংশ বেশি।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো ভাইস চেয়ারম্যান এ.এইচ.এম আহসান।
মেলায় ইপিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়, এবারের বাণিজ্য মেলায় মোট ৩০৪টি দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে। মেলায় বাংলাদেশ ছাড়াও পাঁচটি দেশের ৯টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়।
দেশগুলো হলো- ভারত, হংকং, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া ও সিঙ্গাপুর। এবারের বাণিজ্য মেলায় বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্যাভিলিয়ন, রেস্তোরাঁ ও স্টলের মোট সংখ্যা ছিল ৩৫১টি। যা বিগত বছরে ছিল ৩৩১টি।
অত্যাধুনিক সুযোগ- সুবিধা সংবলিত শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এক্সিবিশন সেন্টারের ১ লাখ ৬৬ হাজার ৩০০ বর্গফুট আয়তনের দুটি হলে (এ ও বি) ১৭৪টি স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল।
সেন্টারের প্রধান ফটকের পূর্বপাশে বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্যাভিলিয়নসহ প্রিমিয়ার ও সংরক্ষিত ক্যাটাগরির স্টল ছিল ৬২টি। হলের পেছনে ফরেন ক্যাটাগরির প্যাভিলিয়ন এবং প্রিমিয়ার ক্যাটাগরির প্যাভিলিয়নসহ প্রিমিয়ার ও সংরক্ষিত ক্যাটাগরির স্টল ছিল ৫৩টি।
সেন্টারের মূল কম্পাউন্ডের বাইরে ৬ একর জমির একাংশে ফুড জোনে ৩২টি রেস্তোরাঁ ও মিনি রেস্তোরাঁ) এবং সাধারণ ও সংরক্ষিত ক্যাটাগরির স্টল ছিল ৬২টি।
উল্লেখ্য, দেশীয় পণ্যের প্রচার, প্রসার, বিপণন, উৎপাদনে সহায়তার লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ইপিবির যৌথ উদ্যোগে ১৯৯৫ থেকে ঢাকায় আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা আয়োজিত হয়ে আসছে। এবার ছিল মেলার ২৮তম আয়োজন।
একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :