আগামীকাল রোববার (৩ মার্চ) থেকে খুচরা পর্যায়ে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৬৩ টাকায় বিক্রি হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
তিনি বলেন, রমজান ও রমজান মাসের বাইরেও নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
শনিবার (২ মার্চ) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনফারেন্স সেন্টারে ‘অ্যাসোসিয়েশন অব গ্রাসরুট উইম্যান অন্ট্রাপ্রেনারস বাংলাদেশ’ আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, গতকাল শুক্রবার থেকে ভোজ্যতেলের মনিটরিং শুরু হয়েছে। আজ শনিবার সকাল থেকেও সকল মিল গেটে টিমগুলো মনিটরিং-এ আছে। ট্যারিফ কমানোর পরে কত মাল তারা ইমপোর্ট করেছে এবং তাদেরকে বাফারস্টোক তৈরির জন্য যে সময় দেওয়া হয়ে তা কতটা কাজে লাগিয়েছে সে বিষয়ে ইতোমধ্যে তাদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। আমি মনে করি আগামীকাল থেকে খুচরা পর্যায়ে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৬৩ টাকায় বিক্রি হবে। আর প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হবে ১৪৯ টাকায়।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডব্লিটিওতে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী আমাদের পেঁয়াজ ছাড় করণের আশ্বাস দিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি সেখানে বসেই পেঁয়াজ ছাড়ের নির্দেশ দিয়েছেন, আমরা গতকাল সে চিঠি পেয়েছি। দেশটি থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ এ সপ্তাহের মধ্যে আসা শুরু হবে।
তিনি বলেন, আমাদের টার্গেট রমজানে যেন ভোক্তাদের বেশি দামে পণ্য কিনতে না হয়। তেলে ভ্যাট-ট্যাক্স কমানোর চিঠি দিয়েছি যার প্রভাব রমজানে পড়বে। খেজুরের অনেকগুলো প্রায় ১০ প্রকার রয়েছে। নরমাল খেজুর রয়েছে ব্যবসায়ীদের একমাস সময় দিয়েছি দাম কমানোর। বস্তায় আসা জায়েদি খেজুর আগামীকাল দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। আশা করছি এরপর দাম কমে আসবে অর্থাৎ এ সপ্তাহ থেকে সর্বোচ্চ খুচরা ও পাইকারি মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া হবে, এতে দাম কমে আসবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা ব্যবসায়ীদের সমস্যা নিরসন করে দেব কিন্তু কোনো অজুহাত শুনব না। যৌক্তিক কারণ ছাড়া রমজানে কোনো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য দেরিতে ছাড়ার সুযোগ নেই। আমাদের টার্গেট শুধু রমজান নয়, রমজান মাসের পরও নিত্যপণ্যের বাজার স্বাভাবিক থাকবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ কোনো ব্যবসায়ী বা গোষ্ঠীর হাতে সাধারণ মানুষ জিম্মি থাকবে না। টিসিবির এক কোটি মানুষ তেল-চিনিসহ কয়েকটি নিত্যপণ্য ভর্তুকি মূল্যে পাবেন।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :