পবিত্র রমজান মাসে অন্যান্য মাসের ডিমের চাহিদা কমে যায়। যে কারণে ঢাকার বাজারে দ্রুত কমতে শুরু করেছে ডিমের দাম। গত তিনদিনের ব্যবধানে ডিমের দাম ডজনে ১০ টাকা কমেছে। কোনো কোনো বাজারে এর চেয়েও বেশি কমেছে। ফলে বড় বাজারে প্রতি ডজন ডিমের দাম নেমেছে ১২০ টাকায়। অর্থাৎ প্রতিটি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়।
এদিকে পাড়া-মহল্লার খুচরা দোকানে প্রতি হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪২ টাকা দরে। ফলে ডিম অনেক জায়গায় সরকার নির্ধারিত ১৪৪ টাকার নিচে নেমে এসেছে।
রাজধানীর মালিবাগ, শান্তি নগর ও তেজগাঁও ডিমের বাজার ঘুরে ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পাইকারি বাজারে ফার্মের মুরগির বাদামি রঙের ডিম বিক্রি হচ্ছে ডজনপ্রতি ১১৫-১১৬ টাকায়। অথচ গত রোববারেও ঢাকায় প্রতি ডজন বাদামি ডিম বিক্রি হয়েছে ১২২ থেকে ১২৫ টাকায়।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, দাম আরও কিছুটা কমার সম্ভাবনা আছে। কারণ রমজানে ডিমের চাহিদা একদম কম থাকে। এদিকে, মুরগির সাদা রঙের ডিমের ডজন এরই মধ্যে কমে ১১০ টাকায় নেমে এসেছে। তেজগাঁও ডিমের আড়তের ব্যবসায়ীরা বলছেন, এখন ডিম বিক্রি করে লোকসান হচ্ছে খামারিদের।
মালিবাগের ডিম বিক্রেতা সবুজ হোসেন বলেন, পাইকারিতে প্রতি একশো বাদামি ডিম কিনতে খরচসহ ৯৫০ টাকার মতো লাগছে। তাতে খুচরা বাজারেও ডিমের দাম বেশ কমে এসেছে। আর দাম কমার কারণে বেচাকেনাও ভালো হচ্ছে। দুদিনের ব্যবধানে ১০ টাকা কমেছে প্রতি ডজনে।
শান্তিনগর বাজারে বিক্রেতা ইউনুস হোসেন বলেন, বেশ কয়েক মাস ধরে ডিমের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। চাহিদাও কম বাজারও ঠান্ডা। তিনি বলেন, রোজার সময় পরিবারে ডিম খাওয়া কমে যায়। এছাড়া অনেক হোটেল রেস্তোরাঁ বন্ধ, যার কারণে চাহিদা অনেক কমেছে।
একুশে সংবাদ/জ.ন.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :