স্বর্ণ ব্যবসায় যুক্ত স্থানীয় পোদ্দার ও চোরাকারবারি সিন্ডিকেট মিলে দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।
বুধবার (৩ এপ্রিল) ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট উপলক্ষে বাজুসের প্রস্তাবনা তুলে ধরতে আয়োজিত প্রাক-বাজেট সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় সংগঠনটি।
এসময় বলা হয়, প্রবাসী শ্রমিকদের রক্ত-ঘামে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার অপব্যবহার করে প্রতিদিন সারা দেশের জল, স্থল ও আকাশ পথে কমপক্ষে প্রায় ২০০ কোটি টাকার অবৈধ স্বর্ণালঙ্কার ও বার চোরাচালানের মাধ্যমে বাংলাদেশে আসছে। যা ৩৬৫ দিন বা একবছর শেষে দাঁড়ায় প্রায় ৭৩ হাজার কোটি টাকা। দেশে চলমান ডলার সংকটে এই ৭৩ হাজার কোটি টাকার অর্থপাচার ও চোরাচালান বন্ধে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে।
স্বর্ণের বাজারে চোরাকারবারিদের দেশি-বিদেশি সিন্ডিকেট অস্থিরতা ছড়িয়ে দিচ্ছে দাবি করে বাজুস জানায়, কৃত্রিম সংকট তৈরি করে প্রতিনিয়ত স্থানীয় পোদ্দার বা বুলিয়ন বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ানো হচ্ছে। পোদ্দারদের সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে স্বর্ণের পাইকারি বাজার।
পোদ্দারদের সঙ্গে চোরাকারবারিদের সিন্ডিকেটের গভীর সম্পর্ক রয়েছে জানিয়ে বাজুস নেতারা বলেন, কৃত্রিম সংকট তৈরি করে স্থানীয় পোদ্দার বা বুলিয়ন বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়াচ্ছে।
এ পরিস্থিতিতে স্বর্ণের অনানুষ্ঠানিক আমদানি নিরুৎসাহিত করার ক্ষেত্রে ব্যাগেজ রুলের সংশোধন এখন সময়ের দাবি উল্লেখ করে বাজুস নেতারা বলেন, অবিলম্বে ব্যাগেজ রুল সংশোধনের মাধ্যমে পর্যটক কর্তৃক স্বর্ণের বার আনা বন্ধ করতে হবে। পাশাপাশি ট্যাক্স ফ্রি স্বর্ণালঙ্কারের দেশে আনার ক্ষেত্রে পরিমাণ কমিয়ে ১০০ গ্রামের পরিবর্তে সর্বোচ্চ ৫০ গ্রাম করতে হবে।
ব্যাগেজ রুলের আওতায় স্বর্ণের বার ও অলংকার আনার সুবিধা অপব্যবহারের কারণে ডলার সংকট, চোরাচালান ও মানি লন্ডারিংয়ে কী প্রভাব পড়ছে তা নিরূপনে বাজুসকে যুক্ত করে যৌথ সমীক্ষা পরিচালনা করারও দাবি জানিয়েছেন বাজুস নেতারা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাজুসের সাধারণ সম্পাদক বাদল চন্দ্র রায়, উপদেষ্টা রুহুল আমিন রাসেল, সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান, স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ট্যারিফ এন্ড ট্যাক্সেশনের চেয়ারম্যান ও কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন, স্ট্যান্ডিং কমিটি অন রিসার্চ এন্ড ডেভেলপন্টের সদস্য সচিব তাসনিম নাজ মোনা প্রমুখ।
একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :